ক্ষমতা ছাড়াই হাজার কোটির সম্পত্তি বিএনপি নেতা আমানের

গুলশানে ৬ কাঠা জমির ওপর ৬তলা বাসা,
কেরাণীগঞ্জে ৪ একর ৭৬ শতাংশ জমির ওপর বাড়ি,
মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে মোট ৫০১ শতক জমির মালিকানা সম্পদ।
এছাড়াও তার স্ত্রীর কোনো আয় না থাকলেও মিরপুরে ১০ শতক জমির ওপর ৬ তলা বাড়ি,
২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে প্রথমে স্বাস্থ্য এবং পরে শ্রম ও জনশক্তি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন আমান উল্লাহ আমান। তখন থেকেই প্রভাব খাটিয়ে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হন বিএনপির এ নেতা। সে সময়ে কেরানীগঞ্জে কয়েক হাজার শতক জমি দখল করেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, কেরাণীগঞ্জের এক কৃষক পরিবারে জন্ম আমানের। পারিবারিক সূত্রে কোনো সম্পদ ছিল না তার। কিন্তু বিএনপির দুই মেয়াদে মন্ত্রী হওয়ার পর ঢাকা ও ঢাকার বাইরে কয়েক হাজার শতক জমি দখল করেন। এসব জমি নিজের ও স্ত্রী সাবেরা আমানের নামে দলিল করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকার অভিজাত এলাকায় তার ৩২টি ফ্লাটের হদিস পায়। এরপর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে তার মামলাগুলোও ধামাচাপা পড়ে যায়। এর বাইরে আরো প্রায় দেড় হাজার শতক জমির তথ্য উদ্ধার করে দুদক।
আমান উল্লাহ আমানের মোট কত সম্পত্তি রয়েছে?
গুলশানে ৬ কাঠা জমির ওপর ৬তলা বাসা,
কেরাণীগঞ্জে ৪ একর ৭৬ শতাংশ জমির ওপর বাড়ি,
মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে মোট ৫০১ শতক জমির মালিকানা সম্পদ।
এছাড়াও তার স্ত্রীর কোনো আয় না থাকলেও মিরপুরে ১০ শতক জমির ওপর ৬ তলা বাড়ি,
বনানীতে ৪ কাঠা জমির ওপর ৩ তলা বাড়ি,
কেরাণীগঞ্জে ৫০২ শতক জমির ওপর বহুতল ভবন এবং
কেরাণীগঞ্জে ৬৬০ শতক জমির খোঁজ পাওয়া গেছে আমানের স্ত্রীর নামে।
এছাড়া ঢাকার পেট্রোল পাম্প, গার্মেন্টসসহ অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে আমান ও তার স্ত্রীর নামে।
সূত্রমতে আমানের এসব সম্পদ নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশের নিমিত্তে দৈনিকটির প্রতিবেদক তাঁর মন্তব্য জানার চেষ্টা করলেও তিনি তা এড়িয়ে যান এবং এসব বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।পরে পত্রিকাটি তার সম্পদের তথ্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও মৌখিক বা লিখিতভাবে আমান তার প্রতিবাদ করেননি।