উপজেলা নির্বাচন: হাইকমান্ডকে এড়িয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সমর্থনেই প্রচারণায় প্রার্থীরা!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:৩২, রবিবার, ৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

পদ-পদবি কেড়ে নিলেও চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রতিনিয়তই গোপনে ভরসা দিয়ে যাচ্ছেন দলের কিছু উচ্চপদস্থ নেতা। বহিষ্কৃতদের পুনর্মূল্যায়ন করা হবে বলেও জানান দেন তারা।

দীর্ঘ হচ্ছে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপি নেতাদের তালিকা। প্রথম ধাপে ৮০ ও দ্বিতীয় ধাপে ৬১ জনকে বহিষ্কার করলেও সরানো যায়নি ভোটের মাঠ থেকে। এ নিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছে দলটির হাইকমান্ড। তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ঘিরে দলের এমন কড়া সিদ্ধান্তে বিরক্ত দলটির নীতিনির্ধারকদের অনেকেই।

সূত্র বলছে, তৃণমূল নেতাদের ভোটবিমুখ করতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে বিএনপি। তাৎক্ষণিক যেকোনো অ্যাকশনে যেতে সাংগঠনিক টিমকে দেয়া হয়েছে ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’। এর পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক ডজন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। পদ-পদবি কেড়ে নিলেও চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রতিনিয়তই গোপনে ভরসা দিয়ে যাচ্ছেন দলের কিছু উচ্চপদস্থ নেতা। বহিষ্কৃতদের পুনর্মূল্যায়ন করা হবে বলেও জানান দেন তারা। তবে সবকিছুই ঘটছে তারেক রহমানকে এড়িয়ে।

প্রার্থীরা বলছেন, বহিষ্কারাদেশ পেয়ে আমরা কেন্দ্রীয় পর্যায়ে যোগাযোগ শুরু করি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গেও অনেকে কথা বলেছেন। তিনি বেশ নমনীয়তা দেখিয়েছেন। প্রচার-প্রচারণার কাজ চালিয়ে যেতে কিছুটা সবুজ সংকেতও দিয়েছেন। আশ্বস্ত করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও মির্জা আব্বাসও। জয় ছিনিয়ে আনলে ভোটে দাঁড়াতে কেন্দ্রের কোনো সমস্যা নেই বলেও দাবি করেন কয়েকটি উপজেলার ‍চেয়ারম্যান প্রার্থী।

তৃণমূল নেতারা বলছেন, এবার ভোটযুদ্ধে নামার অন্যতম কারণ আওয়ামী লীগের বিভক্তি। কেননা প্রায় সবকটি উপজেলায় ক্ষমতাসীন দলটির একাধিক প্রার্থী থাকায় ঝামেলার শঙ্কা রয়েছে। আর এ সুযোগটিই নিতে চাইছেন বহিষ্কার হওয়া বিএনপির প্রার্থীরা। কোনোভাবে টিকে থাকতে পারলে তাদের জন্য জয় ছিনিয়ে আনাটা সহজ হবে। এজন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কড়া সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও প্রার্থীদের হয়ে কাজ করছে শীর্ষ নেতৃত্ব।

বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতা বলছেন, বারবার নির্বাচন বর্জনে নেতা-কর্মীদের মাঝে এক ধরনের হতাশা দেখা দিয়েছে। দুর্বল হয়ে পড়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রম। এমন বাস্তবতায় উপজেলা নির্বাচনে গেলে কর্মী-সমর্থকদের ফের চাঙা করা যাবে। বাড়ানো যাবে জনসম্পৃক্ততা। তাই ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত বদলে প্রার্থীদের আরও উৎসাহ-উদ্দীপনা দেয়া উচিত। নইলে দলেরই বিশাল ক্ষতি হবে বলেও মনে করছেন এই নেতা।
 

Share This Article


ব্যাংক খাত নিয়ে পরিকল্পিত অপপ্রচার!

বিএনপির মহাসচিব নিয়োগে তারেকের সাথে তৃণমূলের মতবিরোধ!

যত মার্কিন কর্মকর্তাই আসুন বিএনপির আশাবাদী হওয়ার ন্যূনতম কারণ নেই!

দল পুনর্গঠনে সরকার বিরোধিতার নতুন কৌশলে জাতীয় পার্টি!

উপজেলা নির্বাচন : বিএনপির ৭ জনের জয়ে বেকায়দায় স্থানীয় দায়িত্বশীলরা!

বিএনপির আন্দোলন: ভারত বিরোধিতাই মুখ্য হয়ে উঠছে!

বিএনপি নেতারা ক্লান্ত: জানালেন গয়েশ্বর

বিবিসি প্রতিবেদন: তৃণমূলের উপর বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে!

কেন গরমে নয় আন্দোলন: জানালেন মান্না

উপজেলা নির্বাচন: 'জয়ী-বহিষ্কৃতদের' গোপনে সমর্থন জানাচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা!

সাত জানুয়ারির নির্বাচনে যেতে মোটা অংকের টাকা দাবি করেছিলেন মান্না!

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে বড় পরিবর্তন আসছে: বিবিসির প্রতিবেদন