আন্দোলনের তহবিল আত্মসাৎ বিএনপি নেতাদের!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:৫৮, সোমবার, ৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারবিরোধী আন্দোলন পরিচালনা, নেতা-কর্মীদের খাওয়া-দাওয়া, যাতায়ত ভাড়াসহ তাদের পাশে থাকার জন্যও তহবিল থেকে দায়িত্বশীল নেতাদের অর্থ দেয়া হয়। এর বাইরে আন্দোলনের নামে ধর্নাঢ্য নেতা কিংবা শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকেও চাঁদা সংগ্রহ করা হয়। তবে অসৎ লোভী দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কারণে তার ছিঁটেফোঁটাও পাননি কর্মীরা। 

গত বছরের ২৮ অক্টোবর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত একযোগে আন্দোলন করে বিএনপি। আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে চলা ওই আন্দোলন পরিচালিনায় গঠন করা হয় তহবিল। আরতহবিলের অর্থ খরচ হওয়ার কথা ছিল গ্রেফতারকৃত,আহত বা ক্ষতিগ্রস্ত নেতা-কর্মীদের দেখভালে।কিন্তু তহবিলের অর্থ খরচে বিরাট অঙ্গতি ধরা পড়ে দলের বিভিন্ন প্রতিবেদনে।  কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতাদের স্বীকারোক্তিতেও আন্দোলনকালীন তহবিলের অর্থ নয়-ছয়ের তথ্য পাওয়া গেছে, যা আত্মসাৎ করেছেন বিভাগীয় দায়িত্বশীল নেতারা।  

সিনিয়র নেতারা জানান, সরকারবিরোধী আন্দোলন পরিচালনা, নেতা-কর্মীদের খাওয়া-দাওয়া, যাতায়ত ভাড়াসহ তাদের পাশে থাকার জন্যও তহবিল থেকে দায়িত্বশীল নেতাদের অর্থ দেয়া হয়। এর বাইরে আন্দোলনের নামে ধর্নাঢ্য নেতা কিংবা শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকেও চাঁদা সংগ্রহ করা হয়। তবে অসৎ লোভী দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কারণে তার ছিঁটেফোঁটাও পাননি কর্মীরা। এ কারণে অনেক এলাকায় আন্দোলন গড়ে ওঠেনি।

সূত্রমতে, আন্দোলনের তহবিলের সবচেয়ে বেশি অর্থ লোপাটের ঘটনা ঘটেছে রাজশাহীতে। রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। তবে তার অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব দেওয়া হয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকতকে। আন্দোলনের জন্য কেন্দ্র থেকে অর্ধ কোটি টাকা প্রেরণ করা হয় তার হাতে। কিন্তু টাকা হাতে পাওয়ার পরও নামকাওয়াস্তে তা কর্মীদের জন্য খরচ করেন শাহীন। রাজশাহীর মতো ভয়াবহ আর্থিক অনিয়ম হয়েছে বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে। এসব বিভাগের কর্মীরা দুর্বিষহ জীবন অতিবাহিত করলেও ফুলে ফেপে উঠেছেন দলের বিভাগীয় দায়িত্বশীল নেতারা। কেউ কেউ এলাকায় গড়েছেন পরিবহন ব্যবসা ও বহুতল ভবন।  

কর্মীদের ভাষ্য, যে কোনো কর্মীসূচিতে বর্ধিত সভা, সমাবেশ বা মহাসমাবেশের জন্য দলীয়ভাবে অর্থ বরাদ্দ থাকলেও তা তৃণমূল ও জেলা-উপজেলার নেতা-কর্মীরা তেমন কোনো বরাদ্দ পাননি। তাই কর্মী সমাবেশে লোক সমাগম ঘটাতে পারেননি বলে আক্ষেপ করেন তারা।

দায়িত্বশীল নেতারা আসা-যাওয়া, খাওয়াসহ অন্যান্য কার্যক্রমে কর্মীদের কোনো ধরনের আর্থিক সহায়তা দেননি। উল্টো আত্মসাৎ করে নিজের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারিত করেছেন। এছাড়া আন্দোলন চলাকালে দলীয় আর্থিক তহবিলের সহায়তার বাইরেও বিভাগীয় অনেক ধর্নাঢ্য নেতা ও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছেন দায়িত্বশীলরা। তা থেকেও বঞ্চিত করা হয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরাদের।

বিষয়ঃ বিএনপি

Share This Article

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিরূপ প্রভাব ঠেকাতে আসছে আইন : প্রতিমন্ত্রী

বিএনপির মহাসচিব নিয়োগে তারেকের সাথে তৃণমূলের মতবিরোধ!

ইসরায়েলের হামলায় গাজায় আরও এক জিম্মির মৃত্যু

যত মার্কিন কর্মকর্তাই আসুন বিএনপির আশাবাদী হওয়ার ন্যূনতম কারণ নেই!

জয় আমার হাতে চুমু দিয়েছে, সিনিয়র না হলে থাপড়াতাম: মিষ্টি

উপজেলা নির্বাচন : বিএনপির ৭ জনের জয়ে বেকায়দায় স্থানীয় দায়িত্বশীলরা!

সর্বোচ্চ আয় করা ক্রীড়াবিদ রোনালদো, তিনে মেসি

‘ফিরে এসেছিলাম বলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি’

মিশা-ডিপজলের কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে নিপুণের রিট

ডোনাল্ড লু'র যে বক্তব্যে কপালে চোখ সরকারবিরোধীদের!


ব্যাংক খাত নিয়ে পরিকল্পিত অপপ্রচার!

বিএনপির মহাসচিব নিয়োগে তারেকের সাথে তৃণমূলের মতবিরোধ!

যত মার্কিন কর্মকর্তাই আসুন বিএনপির আশাবাদী হওয়ার ন্যূনতম কারণ নেই!

দল পুনর্গঠনে সরকার বিরোধিতার নতুন কৌশলে জাতীয় পার্টি!

উপজেলা নির্বাচন : বিএনপির ৭ জনের জয়ে বেকায়দায় স্থানীয় দায়িত্বশীলরা!

বিএনপির আন্দোলন: ভারত বিরোধিতাই মুখ্য হয়ে উঠছে!

বিএনপি নেতারা ক্লান্ত: জানালেন গয়েশ্বর

বিবিসি প্রতিবেদন: তৃণমূলের উপর বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে!

কেন গরমে নয় আন্দোলন: জানালেন মান্না

উপজেলা নির্বাচন: 'জয়ী-বহিষ্কৃতদের' গোপনে সমর্থন জানাচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা!

সাত জানুয়ারির নির্বাচনে যেতে মোটা অংকের টাকা দাবি করেছিলেন মান্না!

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে বড় পরিবর্তন আসছে: বিবিসির প্রতিবেদন