অডিও ফাঁস: উপজেলা নির্বাচনে 'ধরি মাছ না ছুঁই পানি' কৌশলে বিএনপি
- জনপ্রতিনিধি শূন্য দল টিকে থাকা অনেক কঠিন
- যারা ভোটের বিরুদ্ধে, জনগণের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নাই
- স্থানীয় রাজনীতি আর জাতীয় রাজনীতি দুটি ভিন্ন বিষয়
- এবারের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে টালমাটাল অবস্থার মধ্যেই পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও কেন্দ্রীয় পল্লী উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদের বক্তব্যের একটি অডিও ফাঁস হয়েছে। ৫ মে দুপুরে অডিও ক্লিপটি গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে আসে, যা মুহুর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, অডিও ক্লিপটি ফাঁস হওয়ার আগের দিন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত নোটিশে পঞ্চগড়ের বোদা ও দেবীগঞ্জ দুই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির পদধারী পাঁচ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়।
ফাঁস হওয়া অডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘যারা ভোটের বিরুদ্ধে, জনগণের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নাই, তারা স্থানীয় রাজনীতি বোঝেন না। তারা স্থানীয় রাজনীতি আর জাতীয় রাজনীতিকে এক করে ফেলেন। আসলে দুটি ভিন্ন বিষয়। এবারের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। তোমরা মন দিয়ে নির্বাচনটা করো, আশা করি সফল হব। বোদায় যদি উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান দিতে পারি, তাহলে অন্তত উপজেলা চত্বরে গিয়ে একটা বসার জায়গা পাবো। চেয়ারম্যানের চেম্বারে গিয়ে বসতে পারবো, এক কাপ চা খেতে পাররো।’
তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘জনপ্রতিনিধিশূন্য একটা দল টিকে থাকা অনেক কঠিন। আমরা সমর্থকনির্ভর একটা দল, আমাদের কর্মীর চেয়ে সমর্থক বেশি।’
সমালোচকরা বলছেন, এই অডিও বার্তা ছড়িয়ে পড়ার মধ্য দিয়ে বিএনপির প্রকৃত রুপ ধরা পড়েছে।একদিকে ভোটে অংশ নেওয়ায় নেতাদের বহিষ্কার, অন্যদিকে কৌশলে ভোটে অংশ নেওয়ার বিষয়ে বিএনপি নেতাদের কৌশল জনমনে অসন্তোষ তৈরি করছে।
দলটি উপজেলা নির্বাচনে মূলত 'ধরি মাছ না ছুঁই পানি' কৌশল অবলম্বন করছে । তারা মুখে বলছেন নির্বাচন বর্জন, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে নেতা-কর্মীদের গোপনে অর্থসহ সব ধরনের সহায়তা করছেন। এভাবে তারা দেশের মানুষকে বোকা বানাতে চাইছে। এমন দ্বিচারিতা ও ভীরু কৌশলের জন্যই দিন দিন দলটির দাপট মলিন হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।