শীঘ্রই জিয়া পরিবারমুক্ত হচ্ছ বিএনপি!
বিএনপি জিয়া পরিবারমুক্ত হলে তা দল ও নেতা-কর্মীদের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। কেন না তারা দুজনই আইনের চোখে অপরাধী।
প্রায় ১৭ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। দুর্নীতির মামলায় সাজা ভোগ করছেন দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। রায়ের অপেক্ষায় আরও কয়েকটি মামলা। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানেরও দেশে ফেরার পরিস্থিতি নেই। দণ্ডিত হওয়ায় বিএনপির এই দুই কান্ডারিকেই নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছেন পশ্চিমারা। এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের হলেও এবার কিছুটা জট খুললেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। বিএনপিকে জিয়া পরিবারমুক্ত করতে নতুন করে ভাবনা চলছে বলেও জানিয়েছেন এই নেতা।
সম্প্রতি বেসরকারি টেলিভিশন 'ডিবিসি'র এক টকশোতে আলাল বলেন, বেগম জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি কিনা- সেই বিকল্প চিন্তা আমাদের মধ্যে আছে। প্রয়োজনে দুজনের পক্ষ থেকে একটি কমিটি বাছাই করা হবে যারা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দেবেন। হয়তো তাদের পক্ষ থেকেই বলা হতে পারে- চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে অপশন এ-বি-সি থাকবে। এই নির্দিষ্ট পাঁচজন মিলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিয়ে দেবেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বক্তব্যকে স্বাগতম জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, বিএনপি এক ব্যক্তি কেন্দ্রিক দল। বিএনপিতে সেকেন্ড ম্যান বলে কিছু নেই। যাকে সেকেন্ড ম্যান বলা হচ্ছে তিনিও দৃশ্যমান নন। এটি বিএনপির বড় সংকট। এই সংকট দিনদিন আরো বড় হবে। বিএনপি জিয়া পরিবারমুক্ত হলে তা দল ও নেতা-কর্মীদের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। কেন না তারা দুজনই আইনের চোখে অপরাধী। তাদের বাদ দিলেই দলে চাঙাভাব আসবে বলেও মনে করেন তারা।
সমালোচকরা বলছেন, ওয়ান ইলেভেনের সময়ও খালেদা-তারেককে বাদ দেয়ার আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু দলীয় নেতাদের আপত্তির কারণেই তা সফল হয়নি। এবার যেহেতু নিজে থেকেই তাদেরকে বাদ দেয়ার কথা বলছে বিএনপি। আপাতত জিয়া পরিবার মুক্ত হচ্ছে এমন ভাবনা ইতিবাচক হবে। পরে তাদের সাজা শেষ হলে বিএনপি অন্য চিন্তা করতে পারবে। এতে দলীয়ভাবে বিএনপিই লাভবান হবে।