ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর কী বার্তা দেয়?
ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। আগামী ৪ জুন জানা যাবে সরকার কারা গঠন করছে। এর মধ্যেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা ৮ মে রাতে ঢাকা সফরে আসছেন। দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানাতেই তিনি আসছেন বলে কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সূত্র মতে, সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন কোয়াত্রা। প্রধানমন্ত্রী আগামী জুলাই মাসে ভারত সফরে যাবার কথা রয়েছে। আর এটি হলে নির্বাচনে টানা চতুর্থবার জয়ী হওয়ার পর প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর হবে প্রতিবেশি ও বন্ধু রাষ্ট্র ভারতে।
সাধারণত ভোটের সময় কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানায় না দিল্লি। নির্বাচনের পর নতুন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে কাকে আমন্ত্রণ জানাবে আর পররাষ্ট্রনীতি কী হবে। ব্যতিক্রমভাবে শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। তবে দিল্লির মসনদে যারাই ক্ষমতায় আসুক, ঢাকার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখবে।
কূটনীতিক মহল বলছে, ভারত কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে রাজনৈতিক বিরোধের বাইরে অবস্থান গ্রহণ করে। বিশেষ করে পররাষ্ট্র নীতি এমন একটি অবস্থানের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, মসনদে যেই বসুক পররাষ্ট্র নীতিতে মৌলিক পরিবর্তন হয় না। ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সফরের মধ্য দিয়ে সেটিই সুস্পষ্ট বার্তা বহন করে।
নানা কারণে বাংলাদেশের ওপর ভারত নির্ভরশীল। সবচেয়ে বড় কারণ সীমান্তে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমন। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা এই ইস্যুতে ‘‘জিরো টলারেন্স’’নীতি গ্রহণ করেন। মৌলবাদের বিরুদ্ধেও তার দৃঢ় অবস্থান ভারতকে বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল করেছে। এসব কারণেই দিল্লির ক্ষমতায় যারাই আসুক না কেন শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্কের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে। এই বার্তাটি দিতেই বিনয় মোহন কোয়াত্রার এই ঢাকা সফর বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।