মধুখালীতে সহোদর হত্যা : বিএনপি-জামায়াত-হেফাজতের উস্কানিতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:৩২, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩০

শে যেহেতু কোন ইস্যু নেই। মধুখালির ঘটনাটিকে  উস্কানি দিয়ে পরিস্থিতি সাম্প্রদায়িক সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে পারলে সরকারকে বেকায়দায় ফেলা যায়। তাই মধুখালির বিষয়টিকে জিয়িয়ে রেখে দেশকে বড় ধরনের অস্থিতিশীলতা তৈরির পয়তারা করছে বিএনপি-জামায়াত-হেফাজতে ইসলাম।

মধুখালীতে প্রতীমায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গণপিটুনীতে মারা যায় দুই সহোদর ভাই। সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও এর রেশ যেনো কাটছে না। ঘটনাটি নিয়ে চলছে ‘রাজনীতি’। সাম্প্রদায়িক রূপ দিতেও উঠেপড়ে লেগেছে বিএনপি-জামায়াত-হেফাজতে ইসলাম। দূর্ঘটনাবশত ঘটে যাওয়া ঘটনাটিকে স্যোসাল মিডিয়ায় বিভিন্নভাবে উস্কানি দিয়ে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে দলগুলোর নেতাকর্মীরা।

জানা যায়,মন্দিরে আগুনের ঘটনায় মুসলিম চেয়ারম্যান'র নেতৃত্বে উত্তেজিত গ্রামবাসীর হাতে নিহত হন দুই শ্রমিক।কিন্তু হত্যার দায় সরাসরি হিন্দুদের ওপর চাপিয়ে প্রেস রিলিজ দেয় জামায়াত। ঘটনা পুরোপুরি না জেনেই সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্পও ছড়িয়েছে  দলটি। এরপরই  বিজ্ঞপ্তি দেয় আরেক ইসলামি দল হেফাজত ও চরমোনাই। দুই সহোদর হত্যাকে রাজনৈতিককরণে পাশাপাশি সংহতি জানিয়ে গোপনে মধুখালি ঝটিকা সফরও করেন হেফাজতের নেতাকর্মীরা। প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দিয়ে পোস্টও দিয়েছেন স্যোসাল মিডিয়ায়। সেই সাথে বিএনপিসহ সমমনা আরও বেশ কয়েকটি দল বিষয়টি নিয়ে জল ঘোলা করার চেষ্টা করছে। ফলে ঘটনায়  উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা ফরিদপুরে।এমনকি ঢাকায়ও এর বিষবাস্প ছড়িয়ে কর্মসূচি দেয়া হয়েছে।

দলগুলো ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে অনবরত।  জামায়াতে ইসলামের এক কর্মী ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে লিখেছেন 'হিন্দু সম্প্রদায়ের আক্রমনে আরেক মুসলিম সহোদর নিহত হয়েছে।এর বদলা নিতে হবে'।

আরেক বিএনপিপন্থী লেখক তার ওয়ালে দুটো ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, 'অখণ্ড ভারতের পথে তারা এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। অখণ্ড বাংলার কথা এখন আর কেউ বলে না। ভারতের সাথে বাংলার, আর্যদের সাথে বাংলার ভূমিপুত্রদের চার হাজার বছরের বিরোধের ইতিহাস কেউ বলে না। সবাই এখন মনে প্রাণে হিন্দু হয়ে মহাভারতের মহাসাগরে লীন হয়ে যাচ্ছে। এই দেশে ওদের দুই লাখ তের হাজার যোদ্ধা আছে। আপনাদের কি খবর? নব্বই শতাংশ মুসলমানের গর্ব নিয়াও ত কচুকাটা হইবেন। হুঁশ আছে?'

এমন অসংখ্য ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক পোস্টে দেখে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছে  গোটা ফরিদপুরের জনগণ। বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা জানিয়ে প্রশাসনকে অবহতিও করা হয়েছে। তবে ঘটনার সপ্তাহখানে পরে দুই সহোদর হত্যার আসল কাহিনী জানা গেলেও বিএনপি-জামায়াত-হেফাজতের নেতাকর্মীরা কেনো উস্কানি দিচ্ছে বোধগম্য নয় বলে জানান সচেতন মহল।

আর সমালোচকরা বলছেন, দেশে যেহেতু কোন ইস্যু নেই। মধুখালির ঘটনাটিকে  উস্কানি দিয়ে পরিস্থিতি সাম্প্রদায়িক সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে পারলে সরকারকে বেকায়দায় ফেলা যায়। তাই মধুখালির বিষয়টিকে জিয়িয়ে রেখে দেশকে বড় ধরনের অস্থিতিশীলতা তৈরির পয়তারা করছে সরকার বিরোধীরা। তবে সরকার বিষয়টি খুব দক্ষতার সাথে সামলানোয় প্রশংসার দাবি রাখে। সেই সাথে আর কোন রকম অপ্রতীকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেটি যেকোনো মূল্যেই নিশ্চিত করতে হবে।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article


এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

আন্দোলনের সঙ্গীরাও বিএনপির হাইকমান্ডে বিরক্ত!

কাপ্তাই লেকের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

দাবদাহ থাকতে পারে আরও দুই দিন

যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ উন্মোচন হয়ে গেছে: ইরান

নাইজেরিয়ায় গ্রামে ঢুকে বন্দুক হামলা, ২৫ বাসিন্দা নিহত

পূর্ব সুন্দরবনে আগুন

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির আশা বাংলাদেশ-গাম্বিয়ার

আরও ২ দিন গরম থাকতে পারে

সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রশংসায় যুক্তরাষ্ট্রের ‘নেসা সেন্টার’

জাতিসংঘে বাংলাদেশের উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত

‘বাংলাদেশ-ভারত পৃথিবীতে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে’