‘বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি স্থাপন গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কক্সবাজারে প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি স্থাপনের মাধ্যমে দেশের সামরিক ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।


স্মার্ট বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ ও মাদকের ঠাঁই নেই: ডেপুটি স্পিকার

ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেছেন, ধূমপান মাদকের প্রবেশপথ। আর মাদক কেনার টাকা সংগ্রহে মাদকসেবীরা অপকর্মে লিপ্ত হয়। এর কিছু অংশ আবার জঙ্গিবাদেও জড়ায়। সাম্প্রদায়িক শক্তি দেশকে অস্থিতিশীল করতেও জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ ও মাদকের ঠাঁই নেই।

সোমবার পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‌‘মাদকের ভয়াবহতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক ক্যাম্পেইনে তিনি এসব কথা বলেন।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, বর্তমান প্রজন্মকে মাদকের করাল গ্রাস থেকে মুক্ত থাকতে হবে। জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে সুস্থ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। জঙ্গিবাদের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন থেকে এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজেকে বৈশ্বিক ভাবধারার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রজীবন থেকেই বন্ধুবান্ধব ও গরিব-দুঃখীদের কল‌্যাণে নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। অভিভাবকদের উচিত নিজের সন্তানদের মাদকসহ সব অপরাধ থেকে দূরে রাখা ও তাদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ফুটিয়ে তোলা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার, পৌর মেয়র মো. মাহবুবুল আলম বাচ্চু, শহীদ শেখ রাসেল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. মসিউর রহমান প্রমুখ।


বিনোদন





বাংলাদেশ

যেভাবে ফেসবুকে সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি পেলেন শেরপুরের মামুন

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের করপোরেট প্রতিষ্ঠান মেটা। মেটার সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়া বিষয়টি সহজ নয়। এ জন্য প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম, মেধা আর স্বপ্ন জয়ের অদম্য ইচ্ছা। এমন প্রতিষ্ঠানে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন বুনতে পারেন শুধু যোগ্যরাই। তবে সেই স্বপ্ন সবার পূরণ হয় না।

উখিয়ায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে রোহিঙ্গা যুবক নিহত

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুর্বৃত্তদের গুলিতে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ১২ নম্বর ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মোহাম্মদ মাহবুব ওরফে হাফেজ মাহবুব (২৭) উখিয়ার ময়নারঘোনা ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকের বাসিন্দা সৈয়দ আমিনের ছেলে।

স্থানীয়দের বরাতে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় বালুখালী ১২ নম্বর ক্যাম্পের জি-৭ ব্লকে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলছিলেন মোহাম্মদ মাহবুব। একপর্যায়ে সেখান থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় পাঁচ থেকে সাতজন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত। কিছু দূর নেয়ার পর মাহবুবের বুকে পরপর দুটি গুলি করে। পরে এপিবিএন সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এরপর মাহবুবকে উদ্ধার করে বালুখালী ১২ নম্বর সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক।

ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, মাহবুব রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধকর্মের বিরোধিতা এবং স্থানীয় প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ হত্যার  ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে মাঠে নেমেছে পুলিশ।

ডেকে নিয়ে হত্যা, ২ জনের যাবজ্জীবন

সুনামগঞ্জে হত্যা মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রোববার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মহিউদ্দিন মুরাদ এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কামরুল ইসলাম (৪০) ও এলাইছ মিয়া (৪৫)।

মামলার বিবরণ দিয়ে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট সোহেল আহমদ ছইল মিয়া বলেন, পূর্ব বিরোধ নিষ্পত্তি করার কথা বলে ২০০২ সালের ২২ জুন সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বাসিন্দা মুজিবকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান কামরুল ইসলাম ও এলাইছ মিয়া। ২৩ জুন উপজেলার কাইমা গ্রামের ভাটিপাড়া রোডের দক্ষিণ পাশের রাস্তায় মুজিবের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মামলা করে নিহতের পরিবার। দীর্ঘ শুনানি শেষে রোববার এ রায় দেয় আদালত।

দেড় বছরের সাজা এড়াতে ৭ বছর পলাতক, মেলেনি রেহাই

দুই মামলায় দেড় বছরের সাড়া এড়াতে সাত বছর পালিয়ে ছিলেন ফেনীর সোনাগাজীর মো. জামাল উদ্দিন। তবু রেহাই মেলেনি, অবশেষে ধরা পড়েছেন পুলিশের হাতে।

ফেনী পৌর শহরের মহিপাল এলাকার একটি দোকান থেকে জামালকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার রাতে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জামাল সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের সৈয়দপুর এলাকার কালা মিয়ার ছেলে।

পুলিশ জানায়, ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে গাঁজাসহ গ্রেফতার হন জামাল। কিছুদিন কারাভোগের জামিনে বের হন। এর দুই মাস পর আবারও পুলিশ তাকে চোলাই মদসহ গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। ওই মামলায় জামিনে বের হয়ে তিনি গা ঢাকা দিয়ে গোপনে চট্টগ্রামে চলে যান। এরপর থেকে তিনি পলাতক।

এদিকে দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত একটি মাদক মামলায় জামালকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং আরেকটি মামলায় তাকে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তার বিরুদ্ধে একই অভিযোগে আরও তিনটি মামলা বিচারাধীন।

আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা পাওয়ার পর থানার অনেক কর্মকর্তা জামাল উদ্দিনের খোঁজে মাঠে নামেন। কিন্তু তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। সপ্তাহখানেক আগের এক ব্যক্তির মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে, জামাল উদ্দিন কুমিল্লা সদর এলাকায় মাছের ব্যবসা করেন। সাত বছর পালিয়ে থাকার পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার বিকেলে মহিপাল মাছবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে জামাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করে।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ হোসেন দাইয়ান বলেন, মাদকের দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত জামাল উদ্দিনকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রাতে তাকে আদালতের মাধ্যমে ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।