মধুখালীর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হার্ডলাইনে সরকার!
পঞ্চপল্লী ও বাঘাটে বাজার এলাকায় যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ে টহল দিচ্ছেন তারা। সবকিছু স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তাদের সেখানেই রাখা হবে।
সন্দেহের বশে দুই ভাইয়ের হত্যাকাণ্ড নিয়ে ক্ষোভ যেন থামছেই না ফরিদপুরে। ঘটনাটি ঘিরে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। তবে শুরু থেকেই হার্ডলাইনে সরকার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মধুখালীর সেই পঞ্চপল্লীসহ জেলাজুড়ে টহল চলছে বিজিবির। পুলিশ-র্যাবেরও রয়েছে কড়া নজরদারি।
জানা গেছে, কালিমন্দিরে আগুন আর গণপিটুনিতে দুই ভাইকে হত্যার ঘটনায় হঠাৎ ২৩ এপ্রিল ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধরা। খণ্ড খণ্ড মিছিলও করা হয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণিপেশার মানুষই এতে অংশ নেন। এরপর সঙ্গে সঙ্গেই পরিস্থিতি সামাল দেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। বাড়তি নিরাপত্তায় চার প্লাটুন বিজিবিও মোতায়েন করা হয়।
বিজিবি সদর দফতর জানায়, মধুখালীর এ ঘটনায় আগে থেকেই মোতায়েন ছিল তিন প্লাটুন বিজিবি। পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসায় তাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু ঘটনার পাঁচদিন পর ফের ‘চাপা উত্তেজনা’ বাড়ায় চার প্লাটুন বিজিবিকে মাঠে নামানো হয়। পঞ্চপল্লী ও বাঘাটে বাজার এলাকায় যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ে টহল দিচ্ছেন তারা। সবকিছু স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তাদের সেখানেই রাখা হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের সব বাহিনীই হার্ডলাইনে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। তার সরাসরি নির্দেশনায় এরই মধ্যে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতাসহ কয়েকজনকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। বাকিদেরও হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ। এছাড়া ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করতে সব ধর্মের মানুষকে অনুরোধ জানিয়েছে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোরশেদ আলম বলছেন, ঘটনাটি ভিন্নখাতে নিতে স্থানীয়দের উসকে দিচ্ছে কিছু কুচক্রীমহল। এজন্য পরিস্থিতি এখনও কিছুটা উত্তপ্ত রয়েছে। তবে এই হত্যাকাণ্ডকে পুঁজি করে কোনো বিশেষ গোষ্ঠী দ্বিতীয়বার ফায়দা লুটতে পারবে না। কারণ আমরা সতর্ক রয়েছি। কাউকে সন্দেহভাজন মনে হলেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।