সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির নেতারা!
- রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য করে টিকে থাকতে হয় তৃণমূল নেতাদের
- স্থানীয় বাস্তব প্রেক্ষাপটে নির্বাচন করতে হচ্ছে তাদের
- কেন্দ্রীয় প্রেক্ষাপট সেখান থেকে হাজার মাইল দূরে 'টেমস নদীর ওপারে'
- অস্তিত্বের স্বার্থে বহিস্কারের খড়গকে পাত্তা না দিয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন তারা
উপজেলা নির্বাচন ঘিরে চরম অস্বস্তি ভর করেছে বিএনপির অভ্যন্তরে। দলীয় হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় দলটির ৭৩ জন পদধারী নেতাকে বহিস্কার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৪ জন উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, বাকিরা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। বহিস্কৃতদের মধ্যে সবাই নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমন ঘটনা চলমান রাজনীতিতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
মাঠ পর্যায়ের নেতাদের ভাষ্য, ২০১৮ সালে খালেদা জিয়া দুর্নীতির এক মামলায় কারাগারে গেলেও নির্বাহী আদেশে বাসায় অবস্থান করেন। কিন্তু দল কি এই সুযোগ কাজে লাগাতে পেরেছে? জাতীয় নির্বাচন চলে গেলেও সরকার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ অর্থনৈতিকভাবে নানান চাপে আছে। সেই সুযোগ কি কাজে লাগাতে পেরেছে? এর সহজ উত্তর না। কারণ হাইকমান্ডের চরম বিরোধে লক্ষ্যহীন হয়ে পড়েছে রাজনীতি। এমন সিদ্ধান্ত দলের ভবিষ্যতকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে বলে মনে করেন তারা।
সূত্রমতে, রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য করে স্থানীয়ভাবে টিকে থাকতে হয় তৃণমূল নেতাদের। স্থানীয় বাস্তব প্রেক্ষাপটে নির্বাচন করতে হচ্ছে তাদের। স্থানীয় প্রেক্ষাপট একরকম আর কেন্দ্রীয় প্রেক্ষাপট সেখান থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে 'টেমস নদীর ওপারে'। কিন্তু হাইকমান্ড তা বুঝতে চায়না।ফলে অস্তিত্বের স্বার্থে বহিস্কারের খড়গকে পাত্তা না দিয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন তারা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগের বিএনপির জন্য রাজনৈতিক পরিবেশ খুবই অনুকূল বা ইতিবাচক ছিল। কারণ বিএনপির পক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমর্থন ছিল। অপর দিকে চাপ ছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ওপর। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন হবে কি না তা নিয়েও শঙ্কা ছিল।
কিন্তু সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক সমর্থন নিজেদের পকেটে থাকার পরেও বিএনপি ফায়দা হাসিল করতে পারেনি।এর পর হওয়া উল্টে গেছে।বিএনপির রাজনৈতিক সফলতা হয়তো বহুদূর।ব্যর্থতার পথে বছরের পর বছর হেঁটে তৃণমূল নেতাকর্মীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাই এবার বহিস্কার হওয়ার পরেও বিএনপির পদধারী নেতারা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।