বিদেশে যেতে পারবেন সাজাপ্রাপ্ত আমান: আঁতাতের অভিযোগ বিএনপিতে
- বিএনপি সরকারের সময়ে নানাভাবে সম্পদ অর্জন করেন আমান
- সম্পদ রক্ষা, মামলা ও জেল থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে আঁতাত করেন
- ওয়ান-ইলেভেনে যারা বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে, তারা এখনও সক্রিয়
- সুযোগ পেলেই তারা দলের ক্ষতি করবে
দুর্নীতির মামলায় ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য আমান উল্লাহ আমানকে চিকিৎসা নিতে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। ৬ মে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত আপিল বিভাগ এ আদেশ দেয়।
২০০৭ সালে দুদকের এ মামলায় ওই বছরের ২১ জুন আমানকে দুটি পৃথক ধারায় ১০ ও তিন বছর করে মোট ১৩ বছর কারাদণ্ড দেয় বিশেষ আদালত। বিদেশে যেতে মার্চের শেষ সপ্তাহে অনুমতি চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন বিএনপির এই নেতা।
এরই ধারাবাহিকতায় বিষয়টি শুনানিতে আসলে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়। আদালতে আমানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এদিকে হঠাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত আমানের বিদেশে যাওয়ার অনুমতি লাভের পর দলের মধ্যে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। দলীয় নেতাদের অভিযোগ, সরকারের সঙ্গে তিনি আঁতাত করেছেন। কারণ একই সময়ে বিএনপির আরও অনেক নেতা কারাবরণ করলেও তারা জেলের ঘানি টানছেন। অথচ আমান জামিনও পান সবার আগে। এখন বিদেশে যাওয়ার অনুমতি পেলেন।
দলীয় নেতারা বলছেন, বিএনপি সরকারের সময়ে নানাভাবে অর্জিত সম্পদ রক্ষা, মামলা ও জেল থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে অনেকে আঁতাত করে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। তাদের মধ্যে আমানও একজন। ওয়ান-ইলেভেনে যারা দলের সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে, তারা এখনও সক্রিয়। সুযোগ পেলেই তারা দলের ক্ষতি করবে।
এসব সুবিধাবাদীকে যাতে দলে জায়গা দেয়া না হয়, সেজন্য তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বারবার হাইকমান্ডকে অনুরোধ করেছে। কিন্তু তাদের ঠিকই দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ পদও দেয়া হয়। দলের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা এসব নেতাকে চিহ্নিত করে তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে হবে। না হলে ভবিষ্যতে দলকে আরও মাশুল দিতে হবে বলে মনে করেন তারা।