বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে বড় পরিবর্তন আসছে: বিবিসির প্রতিবেদন
শীর্ষ নেতৃত্বের উদ্যোগে বিএনপির কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতৃত্বে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। সাংগঠনিকভাবে দলকে গতিশীল, শক্তিশালী ও আন্দোলনের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ৫ মে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী নির্বাচনের আগে আর ক্ষমতা পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখছে না বিএনপি। ফলে আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই পরিকল্পনা গ্রহণ করতে চায় শীর্ষ নেতৃত্ব। এর জন্য শর্টকাট কর্মসূচির পরিবর্তে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নে। এরই অংশ হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি পুনর্গঠন করতে চায় দলটি।
বিশেষ করে মহাসচিব, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে নতুন নেতা খোঁজ করছে দলটির প্রধান দুই কর্ণধার। এর বাইরে জাতীয় স্থায়ী কমিটিতেও নতুন কিছু মুখ আসতে পারে, যারা সবাই সাবেক ছাত্র নেতা। জাতীয় কাউন্সিল কিংবা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের গঠনতন্ত্রে দেওয়া ক্ষমতাবলে নতুনরা নেতৃত্বে আসছেন বলে জানা গেছে।
দলটির সাংগঠনিক সম্পাদকের পদে ঢাকায় সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, চট্টগ্রামে বজলুল করিম চৌধুরী, রাজশাহীতে মোসাদ্দেক হোসেন, খুলনায় আজিজুল বারী, বরিশালে মোশাররফ, সিলেটে জি কে গউছ, ফরিদপুরে শহিদুল, রংপুরে আবদুল খালেক, কুমিল্লায় সেলিম ভূঁইয়া ও ময়মনসিংহে শরিফুলের নাম আলোচনায় আছে।
এছাড়া যুগ্ম মহাসচিব পদে আলোচনায় আছেন আসাদুল হাবিব দুলু, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার, রকিবুল ইসলাম বকুল প্রমুখ।
আর নতুন মহাসচিব পদে সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদের নাম, যদিও সূত্রটি পুরোপুরি নির্ভরযোগ্য নয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা বলছেন, যেভাবে সাবেক ছাত্রদল নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে আনার কথা ভাবা হচ্ছে, তাতে দলে তারেক রহমানের কর্তৃত্ব আরো বাড়বে। নিজের বলয় তৈরি হবে। সিনিয়রদের গুরুত্ব কমে যাবে। দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। এমন কমিটি দলকে ইতিবাচক ধারায় ফেরার পরিবর্তে ভুল পথে পরিচালিত করতে পারে।