ফালুকে নিয়ে বিএনপিতে নতুন করে আলোচনা
বিভিন্ন দাবিতে দীর্ঘ সময় লাগাতার আন্দোলনে সফল হতে পারেনি বিএনপি। তাই নির্বাচন পরবর্তী দলগোছানোসহ নেতাকর্মীদের চাঙা রেখে আন্দোলন-কর্মসূচি কীভাবে বেগবান করা যায় তা নিয়েই ফালুর সঙ্গে আলোচনা করেছেন মির্জা ফখরুল।
মোসাদ্দেক আলী ফালু। বিএনপির দুর্দান্ত প্রতাপশালী এই নেতা ছিলেন খালেদা জিয়ার সবচেয়ে বিশ্বস্ত। এ কারণে বডিগার্ড থেকেই রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয়ে উঠেছিলেন। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক সচিব হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। কিন্তু হাওয়া ভবনের দৌরাত্ম্যে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়েন এই নেতা। তারেকের সঙ্গেও দেয় প্রকাশ্য বিরোধ।
এরপর ধীরে ধীরে মূলধারার রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। একই সঙ্গে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাজা এড়াতে বর্তমানে সৌদি আরবে রয়েছেন ফালু। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে তার এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে। এতেই আবার তাকে নিয়ে নতুন করে আলোচনা জন্ম দিয়েছে বিএনপিতে।
মির্জা ফখরুল এমন সময় ফালুর সঙ্গে দেখা করেছেন, যখন বিএনপিতে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করছে। হঠাৎ এমন বৈঠকে ফালুর অনুসারীরা তার উত্থান চাচ্ছেন। এছাড়া খালেদাপন্থীরাও ফের চাঙা হয়ে উঠেছেন। কেননা বিএনপি চেয়ারপারসনের খুব আস্থাভাজন ছিলেন এই ফালু। এজন্যই তারেক রহমানের রোষানলে পড়েন তিনি।
কেউ কেউ মনে করছেন, ফালুর সঙ্গে তারেক রহমানের সম্পদের ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে একটা টানাপোড়েন মেটাতে এই বৈঠক চলছে। কারণ খালেদা জিয়ার সমস্ত সম্পদ দেখভাল করেন ফালু। কিন্তু তারেক জিয়া এসব সম্পত্তির মালিকানা বুঝে নিতে চান। এ কারণে গত কিছুদিন ধরে এই নেতার ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন তিনি। তবে বৈঠকটি এত হালকা বিষয় নিয়ে হয়নি বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিএনপির বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা।
শীর্ষ নেতারা বলেন, বিভিন্ন দাবিতে দীর্ঘ সময় লাগাতার আন্দোলনে সফল হতে পারেনি বিএনপি। তাই নির্বাচন পরবর্তী দলগোছানোসহ নেতাকর্মীদের চাঙা রেখে আন্দোলন-কর্মসূচি কীভাবে বেগবান করা যায় তা নিয়েই ফালুর সঙ্গে আলোচনা করেছেন মির্জা ফখরুল। এছাড়া দলে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে তার নিরসনে কথা হয়েছে বলেও জানান তারা।