আর রাখঢাক নয়: ফের প্ৰকাশ্য হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত সম্পর্ক!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:০৯, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৪, ২১ চৈত্র ১৪৩১
  • ২৮ মার্চ লেডিস ক্লাবে বিএনপি ইফতারে আসেন জামায়াতআমির
  • ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি ছিলেন তারেক রহমান 
  • এক টেবিলে ইফতার করেন শফিকুর রহমান-মির্জা ফখরুল
  • ৩০ মার্চ জামায়াতের ইফতারে ছিলেন আব্বাস, মাহবুবসহ ১৮ নেতা

বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক নিয়ে আর যেন রাখঢাক রাখতে চাইছে না দল দুটি। সাম্প্রতিক সময়ে দল দুটির ফের কাছে আসা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে সৃষ্টি হয়েছে কৌতুহল। সরকার বিরোধী আন্দোলনে দল দুটির কাছে আসাকে ইতিবাচকভাবে দেখতে শুরু করেছেন সরকারবিরোধী জোটের অন্যান্য নেতারাও।

গত ২৮ মার্চ ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে বিএনপি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে এক টেবিলে বসে ইফতার করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে জামায়াতের আমীরসহ ৪ শীর্ষ নেতাও শরীক হন।

এর দুইদিন পর ৩০ মার্চ দীর্ঘ ৯ বছর পর প্রকাশ্যে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ইফতার মাহফিল আয়োজন করে জামায়াত। ডা. শফিকুর রহমানের সাথে সেদিন একই টেবিলে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, জেনারেল মাহবুবও। উপস্থিত ছিলেন দলটির ১৮ জন সিনিয়র নেতাও।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে দলের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করেছিলেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। সেখানে  জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করতে শীর্ষ নেতাদের পরামর্শ দেন বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।

নির্বাচনের পর ২০২০ সালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও অধিকাংশ সদস্য জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করার পক্ষে মত দেন। এরপর জামায়াতকে নিয়ে গঠিত বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট নিষ্ক্রিয় করে দেয়া হয় এবং ২০২৩ সালে ঘোষণা দিয়েই ২০ দলীয় জোট ভেঙে দেয় বিএনপি।  

কিন্তু বছর না ঘুরতেই দলটি রাজপথে সঙ্গীহীন হয়ে পড়ে, বিশেষ করে নির্বাচনকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তা স্পষ্ট হয়। সর্বোপরি বিনা বাধায় আওয়ামী লীগ নির্বাচনী বৈতরণী পার করে পুনরায় ক্ষমতায় আরোহণ করলে দলটির ভারতবিরোধী নেতারা সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতার পরেও নির্বিঘ্নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় সরাসরি ভারতের প্রভাবকে দায়ী করেন।

ভারতবিরোধী বিএনপি নেতাদের মতে, যে ভারতের সমর্থন পেতে দলটি রাজপথে তাদের পরীক্ষিত বন্ধুকে হারিয়েছে সেই দেশটি আসলে বিএনপিকে এখনো আওয়ামী লীগের বিকল্প ভাবতে পারেনি, ভবিষ্যতেও সে সম্ভাবনা নেই। কাজেই আর নয়।

এছাড়া সরকারের সঙ্গে জামায়াতের ঘনিষ্ঠতার যে সন্দেহ তৈরি হয়েছিল সেটি পুরোপুরি ঠিক নয় , নিজদলীয় স্বার্থে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভিন্ন ব্যানারে অংশ নেয়ার সুযোগ থাকলেই দলটি তা না করে বিশ্বাসযোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে। কাজেই বিএনপির বর্তমান নেতৃত্বের অধিকাংশই মনে করছেন ভারতকে বিশ্বাস করে আর কূটনৈতিক নির্ভরতা নয়, বরং রাজপথের আন্দোলনকেই বেছে নিতে হবে, আর এক্ষেত্রে জামায়াতকে তাদের অতীব প্রয়োজন।

সমালোচকরা বলছেন, গত এক সপ্তাহে বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্ক আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখন তারা আর গোপন পরকীয়া সম্পর্ক করছে না। বরং তাদের প্রকাশ্য সম্পর্কই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হতাশাগ্রস্ত বিএনপিকে পুনরুদ্ধারের জন্য জামায়াতও পাশে এসে দাঁড়িয়েছে নিজেদের স্বার্থেই। আর এই ইফতার পার্টির পরপরই খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি ও বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে বিবৃতি দেয় জামায়াতও।

এদিকে জামায়াতের আয়োজনকে উদ্বেগজনক ভীতিকর উল্লেখ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, বিএনপি-জামায়াতের এই রাজনীতি বরাবরই যৌথ ছিল। এখানে কোন বিচ্ছেদ কখনো ঘটেনি। নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য তারা দৃশ্যমান সম্পর্কে হয়ত আসেনি। সেটা জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। বিএনপি-জামায়াত সহোদর। তাদের জন্ম একই জায়গা থেকে হয়েছে। ফলে তাদের রাজনীতির ধরণ ও পথ একটাই বলে মনে করেন তারা।

বিষয়ঃ বিএনপি

Share This Article


উত্তপ্ত মধুখালী, পুলিশের ওপর হামলা, সংঘর্ষে প্রাণ নাশ!

উত্তপ্ত মধুখালী: বহিরাগতদের আনাগোনা, পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে চাইছে কারা?

ফরিদপুর মধুখালীতে দুই ভাই হত্যার প্রতিবাদ: বড় ধরনের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির আলামত!

উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থীদের চাপে নমনীয় বিএনপি!

লন্ডনে বসে রাজনীতি বন্ধ হচ্ছে তারেক রহমানের!

কি ঘটেছিলো ফরিদপুরে:সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতা চাইছে কারা?

জেলে থাকা নেতাকর্মীর সংখ্যা নিয়ে কাদেরের চ্যালেঞ্জে বেকায়দায় বিএনপি!

বিএনপিতে ফের ভারত বিরোধিতা উসকে দিতে তৎপর রিজভী: ক্ষুব্ধ সিনিয়র নেতারা!

যে তিন কারণে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে চায় বিএনপির তৃণমূল

উপজেলা নির্বাচন: ফের গণবহিস্কার বিএনপিতে!

উপজেলা নির্বাচন: বিএনপিকে ধোঁকা দিল জামায়াত!

উপজেলা নির্বাচন বর্জন : লাভের চাইতে ক্ষতি বেশি বিএনপির!