কি ঘটেছিলো ফরিদপুরে:সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতা চাইছে কারা?

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:৩৫, রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪, ৮ বৈশাখ ১৪৩০

'মন্দিরে আগুন' খবরটি ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের গ্রামবাসী হইহুল্লোড় করে মন্দিরের দিকে ছুটে আসে। সেখানে নিহত শ্রমিক দুই সহোদরও এগিয়ে যায়। এসময় সন্দেহবশত বিক্ষুব্ধ জনতা মারমুখি হয়ে উঠে অপরিচিত হওয়া নির্মাণ শ্রমিকদের ওপর।  উচ্ছৃঙ্খল জনতার হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে মন্দিরের পাশে হিন্দু মালিকানাধীন মুদি দোকানে আশ্রয় নেয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। ঘটনাটি হিন্দু সম্প্রদায়ে দোকানে ঘটায় একে সাম্প্রদায়িক রুপ দিতে উঠে পড়ে লাগে উগ্র মৌলবাদি গোষ্ঠী।

১৮ এপ্রিল ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় পঞ্চপল্লী গ্রামে কালী প্রতিমায় আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে জড়িত সন্দেহবশত কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিককে মারধর করে উত্তেজিত জনতা। তাতে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপে বড় ধরনের সহিংসতা এড়ানোয় খুশি স্থানীয়রা। তবে ঘটনাটি পুজিঁ কর দেশকে সাম্প্রদায়িকভাবে অস্থিতিশীল করতে উস্কে দিচ্ছে সরকার বিরোধীসহ সেচ্ছানির্বাসিত কয়েকজন কথিত অনলাইন এক্টিভিস্ট।

জানা যায়, 'মন্দিরে আগুন' খবরটি ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের গ্রামবাসী হইহুল্লোড় করে মন্দিরের দিকে ছুটে আসে। সেখানে নিহত শ্রমিক দুই সহোদরও এগিয়ে যায়। এসময় সন্দেহবশত বিক্ষুব্ধ জনতা মারমুখি হয়ে উঠে অপরিচিত হওয়া নির্মাণ শ্রমিকদের ওপর।  উচ্ছৃঙ্খল জনতার হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে মন্দিরের পাশে হিন্দু মালিকানাধীন মুদি দোকানে আশ্রয় নেয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। ঘটনাটি হিন্দু সম্প্রদায়ে দোকানে ঘটায় একে সাম্প্রদায়িক রুপ দিতে উঠে পড়ে লাগে উগ্র মৌলবাদি গোষ্ঠী। কিন্তু বিক্ষুদ্ধ জনতার কাতারে সেসময় নানা শ্রেণীর পেশার মানুষ উপস্থিত ছিল বলে জানা গেছে অনুসন্ধানে।

ঠিক এই ঘটনাটি পুজিঁ করে উস্কানিমূলক পোস্ট দিচ্ছেন সেচ্ছানির্বাসিত কয়েকজন কথিত অনলাইন এক্টিভিস্ট। এতে রসদ যোগাচ্ছেন আমেরিকায় বসবাসরত খালেদা জিয়ার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী শামসুল আলম,সেচ্ছানির্বাসিত কথিত এক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য, শিবির দ্বারা পরিচালিত বাঁশেরকেল্লাসহ বেশ কিছু পেজ ও গ্রুপ। ঘটনাটি ইচ্ছেকৃত বলে সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানিমূলক প্রচারণাও চালাচ্ছে তারা।

সমালোচকরা বলছেন, নির্বাচন পরবর্তী নতুন সরকারের সামনে অথর্নীতি ব্যতিত অন্য কোন চ্যালেঞ্জ নেই। তাই ঠিক এমন মুর্হূতে সরকারকে চাপে ফেলতে ইস্যুর খোঁজে সরকার বিরোধীরা। এমন সময় ফরিদপুরে ঘটনা সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় রুপ দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিরোধীদের জন্য একটা সুযোগ বটে। তাই  ঘটনাটাকে পুঁজি করে ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করছে কুচক্রি মহলটি। 
কারণ সংখ্যালঘুরা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বড় ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত। আওয়ালীগ সরকারের সময়ই সবচেয়ে বেশি নিরাপদ তারা। সেই সময়ে এমন একটি ঘটনা ঘটালে আওয়ামী সরকার সনাতন ধর্মালম্বীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বলেও প্রশ্ন তোলা যাবে।

আর এমন সময় ঘটনাটি ঘটেছে যখন ভারতে লোকসভা নির্বাচন চলছে। দেশটিতেও সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেই সাথে আমেরিকা বর্তমানে সংখ্যালঘু ইস্যুটি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে।তারা সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা 'উইং'ও খুলেছে। এ সময়ে সাম্প্রদায়িকতার মত স্পর্শকাতর বিষয় সামনে আনতে পারলে, দেশকে অস্থিতিশীল দেখিয়ে ভারত ও আমেরিকাকে দিয়েও সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা যাবে।

আর এতে সরকারকে কিছুটা বেকায়দায় ফেলা যায়। আর সেই সুযোগ নিতে চায় সরকার বিরোধী গোষ্ঠীটি।তবে এই স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে কোন পক্ষই যাতে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি সাধন করতে না পারে,সেটি  আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও প্রশাসনে তীক্ষ নজর রাখাতে হবে বলেও জানান সচেতন নাগরিক সমাজ।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article


ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে দিলো তুরস্ক

বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাবনা জাতিসংঘে গৃহীত

পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত সিলেটের নিম্নাঞ্চল

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

রহস্যঘেরা মিল্টন সমাদ্দার

জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : সেতুমন্ত্রী

‘সমুদ্র সৈকতে বিনিয়োগ করতে চাইলে থাইল্যান্ডকে জায়গা দেওয়া হবে’

অর্থপাচার মামলায় ড. ইউনূসের জামিন

প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলছে রোববার

মিল্টন সমাদ্দারকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন

এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৪৯ টাকা কমলো

বিনিয়োগ করতে চাইলে থাইল্যান্ডকে জায়গা দেওয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী