প্রচণ্ড গরমে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সতর্ক থাকার পরামর্শ
বেশ কিছু প্রজাতির সাপের প্রজনন মৌসুম নিকটবর্তী হওয়ায় এবং গরমে আরামদায়ক পরিবেশের সন্ধানে সাপ জলজঙ্গল ছেড়ে ফাঁকা ঘরবাড়ি ও বাসগৃহসংলগ্ন ছায়াযুক্ত পরিবেশে চলে আসছে। এতে মানুষের সঙ্গে সাপের সংঘাত ও সাপে কাটার ঘটনা বেড়ে গেছে।
দেশ জুড়ে অস্বাভাবিক গরম পড়ায় চলতি বছর স্বাভাবিক সময়ের আগেই সাপের কামড় ও এতে মৃত্যুর ঘটনা বেড়ে গেছে। তবে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এমন ঘটনা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। গতকাল মঙ্গলবার স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশের (এসআরটিবিডি) সহযোগিতায় রাজধানীর দারুস সালাম জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) শাহআলী ও দারুস সালাম থানা এবং এই দুই থানার অধীন পুলিশ ফাঁড়ির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ মিরপুরের স্থানীয় মানুষ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সাপ উদ্ধার ও উপযুক্ত পরিবেশে অবমুক্ত করার কাজে যুক্ত স্বেচ্ছাসেবীরা জানান, বেশ কিছু প্রজাতির সাপের প্রজনন মৌসুম নিকটবর্তী হওয়ায় এবং গরমে আরামদায়ক পরিবেশের সন্ধানে সাপ জলজঙ্গল ছেড়ে ফাঁকা ঘরবাড়ি ও বাসগৃহসংলগ্ন ছায়াযুক্ত পরিবেশে চলে আসছে। এতে মানুষের সঙ্গে সাপের সংঘাত ও সাপে কাটার ঘটনা বেড়ে গেছে।
সচেতনতামূলক প্রচারাভিযানে এসআরটিবিডির বক্তারা বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকেও সাপ উদ্ধারের আহ্বান পাওয়া যায়। পুলিশ সদস্যরা সাপের দংশনে করণীয় বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করলে গ্রাম ও শহরে বসবাসকারী মানুষকে সঠিক পরামর্শ দেওয়ার মাধ্যমে জীবন রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারেন। তারা আরও জানান, প্রতি বছর দেশে সাড়ে ৭ হাজারের বেশি মানুষ সাপের কামড়ে মারা যাচ্ছেন। দারুস সালাম জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মফিজুর রহমান পলাশ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।