লন্ডনে বসে রাজনীতি বন্ধ হচ্ছে তারেক রহমানের!
![লন্ডনে বসে রাজনীতি বন্ধ হচ্ছে তারেক রহমানের!](/Uploads/Images/News/2024/4/Image-23266-20240422082744.webp)
- বিট্রেনসহ পশ্চিমারা তারেক রহমানের রাজনীতির নেতৃত্বের অবসান চাইছেন
- বিএনপির তিন নেতার সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপি সারা কুকের বৈঠক
- ক্ষীণ হয়ে আসছে লন্ডনে বসে তারেক রহমানের রাজনীতির পথ
- তারেককে দেশে আনতে নতুন করে প্রচেষ্টা শুরু করেছে সরকার
হঠাৎ করে কূটনৈতিক পাড়ায় দেখা দিয়েছে সক্রিয়তা। সম্প্রতি ঢাকাস্থ ব্রিটিশ দূতাবাসে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপি বৈঠক করেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারা কুক।
বৈঠকে লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয় পেলেও তারেক রহমান সেখানে বসে আর প্রকাশ্য রাজনীতি করতে পারবেন না বলে বিএনপি নেতাদের জানিয়েছেন কুক। তবে দল পরিচালনার স্বার্থে সীমিত আকারে দিক নির্দেশনামূলক ভূমিকা পালন করতে বাধা নেই বলেও জানান কুক।
সূত্রমতে, ব্রিটেনে তারেক রহমানের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার কারণে ঢাকা-লন্ডন সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছে ব্রিটেন।বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সাথে আলাপকালেও তারেককে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি উত্থাপন করেন। আর এ কারণেই ব্রিটেন মনে করছে, তারেক যদি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকেন, সেটা ব্রিটেন বিবেচনা করতেই পারে। কিন্তু ব্রিটেনে বসে তিনি সরাসরি রাজনীতি করতে পারবে না।
তবে আরেকটি সূত্র বলছে, বিএনপি নেতাদের সাথে তারেক রহমানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েই ঢাকাস্থ ব্রিটিশ দূতাবাসে আলোচনা হয়েছে। তারেকের ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে নতুন সংকট তৈরি হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ব্রিটেনের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ রয়েছে। বিশেষ করে অপরাধী বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকার এখন তারেককে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আবার নতুন করে প্রচেষ্টা শুরু করেছে।
জানা যায়, ৭ জানুয়ারী ভোটে তারেককে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি দেয়ার অঙ্গীকার করেছে আওয়ামী লীগ। তা বাস্তবায়নে দলটি তৎপরতাও শুরু করেছে। এমন বাস্তবতায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত সারা কুক বিএনপির তিন নেতাকে ডেকেছিলেন এবং তাদের কাছে এ মনোভাবগুলো জানান।
বিট্রেনসহ পশ্চিমা দেশগুলো এখন চাইছে তারেক রহমানের রাজনীতির নেতৃত্বের অবসান ঘটুক। তিনি বিএনপিতে নির্বাহী দায়িত্ব না নিয়ে উপদেষ্টা হিসেবে থাকুক। পশ্চিমা দেশগুলো অনেক আগে থেকেই বিএনপিকে চাপ দিচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে সূত্রটি।