ঈদকে সামনে রেখে আগত মৌসুমী ভিক্ষুকদের সাথে রিজভীর সাক্ষাৎ!
বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আর তাতে জনমনে কিছুটা স্বস্তি দেখা গেছে। আর এটাই মানতে পারছেন না বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভী। হতে পারে এটাকে কেন্দ্র করেই তিনি ভিক্ষুকদের সামনে এনে সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলতে চেয়েছেন। বোঝাতে চেয়েছেন যে দেশের অবস্থা ভালো না। সবাই কষ্টে আছেন।
আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বস্ত্র বিতরণের উদ্দেশ্যে ভিক্ষুকদের সাথে সাক্ষাত করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গত ২ এপ্রিল রাজধানীর নয়াপল্টনের নিজ কার্যালয়ে সাক্ষাতকালে তিনি বলেন, দেশে দুর্ভিক্ষের শুধু পদধ্বনি নয়, দুর্ভিক্ষ বিরাজমান। চারদিকে ভিক্ষার আওয়াজ, ভাত চাওয়ার আওয়াজ, চাল চাওয়ার আওয়াজ শোনা যায়। রাস্তায় এতো ভিক্ষুক যা আমরা আগে কখনো দেখিনি।
রিজভীর এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ব্যঙ্গ করে অনেকেই বলেছেন, রমজান মাসে তিনি হয়তো প্রথম বেরিয়েছেন রাজধানীতে। কারণ তিনি যাদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন তারা হলেন সিজনাল বা মৌসুমী ভিক্ষুক। কিন্তু এটা না বলে তিনি বলছেন ভিক্ষুক সংখা বেড়ে গেছে।
প্রতিবছর রমজান মাস এলেই রাজধানীতে ভিক্ষুক সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। শুধু এক মাসের জন্যই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তারা ঢাকায় আসেন কিছুটা অতিরিক্ত আয়ের জন্য। এদের কেউ কেউ থাকেন নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে। আবার অনেকে মিলে এক মাসের জন্য বাসা ভাড়া করেও থাকেন। বেশিরভাগ ভিক্ষুকের লক্ষ্য থাকে অভিজাত এলাকা এবং এর আশপাশের ট্রাফিক সিগন্যালে ভিক্ষা করা। এছাড়া স্থানীয় ছোট বড় মার্কেট ও মসজিদের সামনেও তারা নিয়মিত ভিড় করেন। এক মাসের হিসাবে এসব ভিক্ষুকরা আয় করেন সর্বোচ্চ ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যখন খাদ্য ঘাটতি দেখা যায় তখন সেই পরিস্থিতিকে দুর্ভিক্ষ বলে। দেশে বর্তমানে কোনো প্রকার খাদ্য ঘাটতি নেই, খাদ্য উৎপাদনে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। এছাড়া বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেও নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আর তাতে জনমনে কিছুটা স্বস্তি দেখা গেছে। আর এটাই মানতে পারছেন না বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভী। হতে পারে এটাকে কেন্দ্র করেই তিনি ভিক্ষুকদের সামনে এনে সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলতে চেয়েছেন। বোঝাতে চেয়েছেন যে দেশের অবস্থা ভালো না। সবাই কষ্টে আছেন।
অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, বিএনপির আমলেই মঙ্গা-খরা ও দুর্যোগে না খেতে পেয়ে মানুষকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হতো, অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাতে হতো। আর সেখানে বাংলাদেশ আজ সামগ্রিক খাদ্য উৎপাদন কয়েকগুণ বৃদ্ধিতে এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।