আল্লাহ কার কথা শুনবেন: ইউনুসের নাকি নির্যাতিত ঋণ গ্রহীতাদের?

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:২৭, বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৪, ২০ চৈত্র ১৪৩১

একেরপর এক বিতর্কে জড়িয়ে বর্তমানে বিশ্বব্যাপি একটি আলোচিত-সমালোচিত নাম ড. ইউনূস। তার বিরুদ্ধে দেশের আদালতে মানি লন্ডারিং, কর ফাঁকি ও দুর্নীতিসহ ১৯৮টি অপরাধের মামলা চলমান।দোষী সাব্যস্তও হয়েছেন। আর সেই ব্যক্তিই কিনা দেশবাসীকে বালা-মুসিবত থেকে বাঁচার জন্য মহান আল্লাহর কাছে ‘ফরিয়াদ’ করতে বললেন। এ যেন ভুতের মুখে রাম নাম, কেননা তিনি নিজেই অসহায় মানুষদের ক্ষুদ্র ঋণের ফাঁদে ফেলে করেছেন সর্বস্বান্ত। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আল্লাহ তায়ালা কার কথা শুনবেন- গরীবের রক্ত চোষা ড. ইউনূসের নাকি নির্যাতিত ঋণ গ্রহীতাদের?

২ এপ্রিল দুদকের মামলায় হাজিরা দিতে এসে ড. ইউনূস বলেন, ‘এখন রমজানের দিন। আমাদের ওপর অনেক বালা-মুসিবত। আমরা যেন বালা-মুসিবত থেকে বাঁচি। দেশবাসীকে সেজন্য মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করতে হবে। মানুষের রেহাই পাওয়ার রাস্তা খুঁজে বের করতেই হবে। অথচ এই ইউনূসের দেয়া ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় হাজারো মানুষ হয়েছে ভিটেমাটিহীন, কেউ পরেছেন ঋণ চক্রে, অনেকে করেছে আত্মহত্যাও।আর ভুক্তভোগী এসব পরিবারের অভিশাপ রয়েছে তার ওপর। স্বভাবতই প্রশ্ন আসে, ইউনূসের জুলুমের শিকার ভুক্তভোগীর অভিশাপ কবুল হবে নাকি অত্যাচারি ইউনূসের দোয়া? তবে অবশ্যই আল্লাহর কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য মজলুমের দোয়া। কেননা আল্লাহর কাছে নোবেল জয় বিবেচ্য বিষয় নয়, কে অপরাধী সেটাই মূল বিষয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘মুসলমানদের মধ্যে শান্তিতে নোবেল তারাই পায়, যাদের ইসলামের প্রতি এক ধরনের অনিহা রয়েছে। এযাবতকালে যারাই নোবেল পেয়েছে তারা সবাই মুসলিম নামধারী হলেও ‘ইসলামবিদ্বেষী’। সবশেষ উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ইরানের নার্গেস মোহাম্মদীর শান্তিতে নোবেল জয়। তিনি বিশ্বব্যাপি একজন নাস্তিক্যমনা ও প্রচন্ড ইসলাম বিদ্বেষী হিসেবে পরিচিতি। এমন অনেক শান্তিতে নোবেল প্রাপ্তির উদাহরণ রয়েছে। এমনকি ড. ইউনূসও বিশ্ব মিডিয়ায় একাধিক সাক্ষাতকারে বলেছেন যে, তিনি আল্লাহতে বিশ্বাসী নন। তার নাস্তিকতা ও সমকামীতার পক্ষে অবস্থানও পরিস্কার। নোবেল কমিটি কোনো মুসলমানকে নোবেল দেয়ার আগে এসব বিবেচনায় নিয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন। এমন একজন ব্যক্তিত্ব  হওয়ার পরেও ড. ইউনূস এখন আল্লাহর নাম নিতে বাধ্য হচ্ছেন। মূলতঃ সংকটে পড়ে এখন মুসলমানদের ভাবাবেগ কাজে লাগাতে চান তিনি।’

সমালোচকরা বলছেন, ‘ইসলাম বিরোধী হলেও বিপদে পরে এখন ড. ইউনূস আল্লাহ খোদার নাম নিচ্ছে। তিনি যখনই কোনো সংকটে পরেন তখনই তার লেবাস পাল্টিয়ে ফেলেন। এর আগে তিনি যখন আদালতে বিচারের কাঠগড়ায় তখন দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেছেন। আর এখন তিনি ইসলামের প্রতি দরদ দেখাচ্ছেন। সাজতে চেষ্টা করছেন পরহেজগার ও খোদাভীরু মুমিন বান্দা। আবার যখন তার বিপদ চলে যাবে তখন তিনি হয়ে যাবেন পশ্চিমা বিশ্বাসের নাস্তিক কিংবা সমকামী সমর্থনকারী বিশ্ব ব্যক্তিত্ব। মূলতঃ তার সংকট সামনে আসলে চরিত্রের প্রয়োজনে তিনি কখনো হন গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের অগ্রসেনানী, কখনো হন বড় মাওলানা বা মুমিন বান্দা, আবার হয়ে ওঠেন নাস্তিক। সুতরাং এমন লোকের চেয়ে নির্যাতিত ঋণ গ্রহীতাদের ফরিয়াদ আল্লাহর কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য।’

Share This Article


উত্তপ্ত মধুখালী, পুলিশের ওপর হামলা, সংঘর্ষে প্রাণ নাশ!

উত্তপ্ত মধুখালী: বহিরাগতদের আনাগোনা, পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে চাইছে কারা?

ফরিদপুর মধুখালীতে দুই ভাই হত্যার প্রতিবাদ: বড় ধরনের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির আলামত!

উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থীদের চাপে নমনীয় বিএনপি!

লন্ডনে বসে রাজনীতি বন্ধ হচ্ছে তারেক রহমানের!

কি ঘটেছিলো ফরিদপুরে:সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতা চাইছে কারা?

জেলে থাকা নেতাকর্মীর সংখ্যা নিয়ে কাদেরের চ্যালেঞ্জে বেকায়দায় বিএনপি!

বিএনপিতে ফের ভারত বিরোধিতা উসকে দিতে তৎপর রিজভী: ক্ষুব্ধ সিনিয়র নেতারা!

যে তিন কারণে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে চায় বিএনপির তৃণমূল

উপজেলা নির্বাচন: ফের গণবহিস্কার বিএনপিতে!

উপজেলা নির্বাচন: বিএনপিকে ধোঁকা দিল জামায়াত!

উপজেলা নির্বাচন বর্জন : লাভের চাইতে ক্ষতি বেশি বিএনপির!