অর্থনীতিবিদ হয়েও শান্তিতে কেন নোবেল পেলেন ড. ইউনুস?

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:২৫, শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০২৪, ৮ চৈত্র ১৪৩০

বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে দেশ থেকে বিপুল অর্থ তুলে নেয়ার যে পাইপলাইন তৈরি করেছেন ইউনূস, তাতে কৃতজ্ঞ থাকে নরওয়ে সরকার। সেই সুবাদেই শান্তিতে নোবেল দিতেই তার নাম মনোনীত করে নরওয়ে সরকার। তবে এর পেছনে পশ্চিমা বন্ধু  সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও তার স্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের জোর লবিং ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

২০০৬ সালে শান্তিতে যৌথভাবে নোবেল জয় করেছিলেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীন ব্যাংক। কিন্তু একজন অর্থনীতিবিদ হয়ে নিজের দক্ষতা এবং পেশাগত গন্ডির বাইরে গিয়ে শান্তিতে নোবেল জয় বিস্ময় সৃষ্টি করে জনমনে।  কী এমন বিশ্বশান্তি তিনি প্রতিষ্ঠা করলেন যে, তাকে শান্তিতে নোবেল দেওয়া হলো?

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা এর হিসেব মেলাতে না পারলেও মিলিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা যাক, শান্তিতে নোবেল প্রাপ্তিতে ঠিক কোন যোগ সূত্র কাজ করেছে।

শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয় নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি। নরওয়েজিয়ান পালার্মেন্টই এই নোবেল কমিটি একমাত্র মনোনয়ন দেয়। আবার বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মোবাইল ফোন সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের মূল মালিকও নরওয়ের কোম্পানি টেলিনর, যা আবার নরওয়ে সরকারের মালিকানাধীন।

অথচ সবার ধারনা ছিল গ্রামীন ফোনের লভ্যাংশের মালিক তো তৃণমূল জনগণ। কেননা গ্রামীণফোনের মালিক হলো গ্রামীণ টেলিকম, যে ‘গ্রামীণ’ ব্র্যান্ডনেম-এর কপিরাইট গ্রামীণব্যাংকের। অর্থাৎ গ্রামীণব্যাংকের মতো তাদের সিস্টার কনসার্ন গ্ৰুপ গ্রামীণ টেলিকম। যেমন আছে- গ্রামীণ চেক, গ্রামীণ শক্তি ইত্যাদি।

এমনই ছিল সাধারণ মানুষের প্রচলিত ধারণা। সাধারণ জনগণকে এভাবেই বোঝানো হয়েছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠার ৮ বছর পর গ্রামীণফোনের লোগো হঠাৎ এক রাতেই বদলে গেল! লাল-সবুজের ফোন হয়ে গেলো নরওয়ের টেলিনর কোম্পানির ফোন। অর্থাৎ টেলিনর কোম্পানির লোগো বসে গেল গ্রামীণফোনের সবকিছুতে। যে নরওয়ে নোবেল পুরস্কার দেয়, সেই নরওয়ের সরকারের কোম্পানি এই টেলিনর; যার নাম দুদিন আগেও শোনেনি বাঙালি। ২০০৬ সালের ১৮ই নভেম্বর এক রাতেই লোগো বদলে গেল এবং ড. ইউনূস শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন এর ঠিক ২২ দিন পর, অর্থাৎ ১০ই ডিসেম্বর ২০০৬। কী বুঝলেন? হিসাব মিলেছে?

গ্রামীণফোন-এর ৫৫.৮% শেয়ার-এর অংশীদার টেলিনর, নরওয়ের সবচেয়ে বড় টেলিযোগাযোগ সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান যা বিশ্বজুড়ে ১২টি দেশে মোবাইল সেবা দিয়ে যাচ্ছে, এবং ৩৪.২% শেয়ারের অংশীদার গ্রামীণ টেলিকম। এছাড়া অন্যান্য সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী গ্রামীণফোনের বাকি ১০% শেয়ারের অংশীদার।

তথ্যমতে, নরওয়ের টেলিনর-এর মালিকানাধীন বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন-এর ৩৪.২০ শতাংশের মালিক ড. ইউনূসের মালিনাকাধীন গ্রামীণ টেলিকম। গ্রামীণফোনের কাছ থেকে প্রতিবছর গ্রামীণ টেলিকম ডিভিডেন্ট পায় হাজার কোটি টাকার ওপরে। শুধুমাত্র ২০১৯ সালেই তাদের ডিভিডেন্ট এসেছে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।তাহলে।মূল।মালিক টেলিনর কত হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে তা বুঝতে কষ্ট হবার কথা নয়।

কথিত আছে, কূটকৌশল এবং লুটপাটের মাধ্যমে বিদেশিদের পকেটে দেশের মানুষের ঘামে-শ্রমে কষ্টার্জিত অর্থ তুলে দেয়ার জন্য যে শান্তিপূর্ণ তরিকা আবিষ্কার করেছেন, বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে দেশ থেকে বিপুল অর্থ তুলে নেয়ার যে পাইপলাইন তৈরি করেছেন, তাতে কৃতজ্ঞ থাকে নরওয়ে সরকার। সেই সুবাদেই শান্তিতে নোবেল দিতেই তার নাম মনোনীত করা হয় নরওয়ে সরকার। তবে এর পেছনে পশ্চিমা বন্ধু  সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও তার স্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের জোর লবিং ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া নরওয়ের নোবেল শান্তি পুরস্কারটি অনেকাংশে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ দিয়ে বিবেচনা করা হয়েছে বলে মনে করেন অনেকে।

ড, ইউনুস নোবেল।প্রাপ্তির আগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেছিলেন, "অনেকদিন থেকেই হাওয়ায় খবর ছিলো ড. মুহম্মদ ইউনূস নোবেল পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন, তখন এ ব্যাপারে আমার উত্তর ছিল অর্থনীতিতে গ্রামীণ ব্যাংকের জন্য নোবেল পুরস্কার পাওয়া সম্ভব নয়। অসম্ভব, কেননা এতে রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি। তবে শান্তি পুরস্কার সম্ভব হতে পারে।" অবশেষে ড. মুহম্মদ ইউনূস শান্তিতেই পুরস্কার পেলেন। নোবেল শান্তি পুরস্কার মূলত রাজনৈতিক প্রভাবিত পুরস্কার বলেই মনে করেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। আর তার জ্বলন্ত প্রমান ড. ইউনুস।

Share This Article


কি ঘটেছিলো ফরিদপুরে:সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতা চাইছে কারা?

জেলে থাকা নেতাকর্মীর সংখ্যা নিয়ে কাদেরের চ্যালেঞ্জে বেকায়দায় বিএনপি!

বিএনপিতে ফের ভারত বিরোধিতা উসকে দিতে তৎপর রিজভী: ক্ষুব্ধ সিনিয়র নেতারা!

যে তিন কারণে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে চায় বিএনপির তৃণমূল

উপজেলা নির্বাচন: ফের গণবহিস্কার বিএনপিতে!

উপজেলা নির্বাচন: বিএনপিকে ধোঁকা দিল জামায়াত!

উপজেলা নির্বাচন বর্জন : লাভের চাইতে ক্ষতি বেশি বিএনপির!

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সংকটে বিএনপি: প্রকাশ্য বিদ্রোহ!

ফের কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ: ব্রিটিশ ও মার্কিন কূটনীতিকদের তৎপরতা শুরু!

বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম কি কমেছে?

দেশের মানুষের ‘নিরাপত্তা’ নিয়ে ইউনুসের দুশ্চিন্তা: সোশ্যাল মিডিয়ায় হাস্যরস!

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন ১৭ এপ্রিল