দাবদাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা ৪২.৬ ডিগ্রি

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ রাত ০৮:০০, শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩০

তীব্র গরমে হাঁসফাঁস প্রাণিকূল। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। চলমান দাবদাহে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সেচ কার্যক্রম প্রায় বন্ধ রয়েছে। নষ্ট হচ্ছে ধান, আম, লিচু, কলাসহ মাঠের অন্যান্য ফসল। গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। কেউ আবার পান করছেন ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর পানীয়।

চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত তাপদাহে ওষ্ঠাগত জনজীবন। ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

তীব্র গরমে হাঁসফাঁস প্রাণিকূল। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। চলমান দাবদাহে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সেচ কার্যক্রম প্রায় বন্ধ রয়েছে। নষ্ট হচ্ছে ধান, আম, লিচু, কলাসহ মাঠের অন্যান্য ফসল। গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। কেউ আবার পান করছেন ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর পানীয়।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে দীর্ঘ সময় তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় এ অঞ্চলের শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকদের জীবন-জীবিকাতে দেখা দিয়েছে সীমাহীন দুর্ভোগ। হাসপাতালে শয্যার অভাবে এসব রোগীদের চিকিৎসা নিতে হচ্ছে মেঝেতে এবং হাসপাতালের বারান্দায়।

রোদের প্রখরে ফল-ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। আম, লিচু, ধানসহ বিভিন্ন ফল-ফসল পুড়ে যাচ্ছে। এতে লোকসানের শঙ্কা দেখা দিতে পারে।

চুয়াডাঙ্গা বাস টার্মিনাল এলাকার ইজিবাইক চালক আওয়াল হোসেন বলেন, ‌‘কঠিন তাপ পড়চি। সূর্য মনে হচ্চি মাতার উপর চলি এসিচে। আমরা গরীব মানুষ, পেটের দায়ে বাইরে বের হচ্ছি। মাঝে মাঝে রাস্তার পাশের দোকান থেকে শরবত খেয়ে ঠাণ্ডা হচ্ছি।’

চুয়াডাঙ্গা শহরতলী দৌলাতদিয়ার গ্রামের ৬৫ বছর বয়সী মিনু মিয়া ২৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভ্যান চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আয় করবো কী করে? ভ্যানে মাল নিয়ে টানতে গেলেই গলা-বুক শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে। পানি খাওয়ার পরও মনে হচ্ছে তেষ্টা মিটছে না।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘এ মাসের শেষের কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।’

Share This Article