বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম কি কমেছে?
সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১০ টাকা বাড়ানো হয়েছে মর্মে ১৬ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম কমেছে আর সরকার বাংলাদেশে দাম বাড়িয়েছে, যা সত্য নয়। বরাবরের মতোই গুজব ছড়াচ্ছে বিএনিপির এই সাইবার ইউনিটটি।
বাস্তবতা হচ্ছে, বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্ববাজারে ফেব্রুয়ারিতে সয়াবিন তেলের গড় মূল্য ছিলো ১ হাজার ৬৬৭ ডলার। সব দেশে এই রেটেই চলছিলো। তবে বাংলাদেশে মার্চ মাসে শুরু হয় পবিত্র রমজান মাস। তাই সরকার মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে ভোক্তা পর্যায়ে ভোজ্য তেলের দাম বাড়ায়নি। অর্থাৎ এই খাতে ভর্তুকি দিয়ে আগের দাম প্রতি টন ৯১২ ডলারে বাজারে ছেড়েছিলো। এতে চাপে পড়েন ব্যবসায়ীরা।
কেননা রোজার আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে লিটার প্রতি ভোজ্য তেলের দাম বাড়ে ১০-১৫ টাকা। আর ব্যবসায়ীরা সরকারের নির্দেশনায় তা বাড়াতে পারেননি। এমতবস্থায় আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি ও ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে ভোজ্যতেলের মূল্য সমন্বয় করেছে সরকার। লিটার প্রতি বাড়ানো হয়েছে সর্বোচ্চ ১০ টাকা। তবে পরবর্তীতে আন্তজার্তিক বাজারে দাম কমলে দেশেও কমানো হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা সংকটে বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম দফায় দফায় বেড়েছে। বিশেষ করে চলতি বছরের মার্চে মুসলিম দেশগুলোতে ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ এই মাসটিতে ভোজ্য তেলের ব্যবহার কয়েকগুন বাড়িয়ে থাকেন মুসলিমরা। ইফতারের উদ্দেশ্যে তৈরি করেন বিভিন্ন মুখরোচক খাদ্য। ফলে ভোজ্য তেলের যোগান বাড়ার পাশাপাশি বেড়ে যায় দামও।