সবকিছু ছাপিয়ে রাজনীতিতে ভারত ইস্যু : দুকূল হারাতে পারে বিএনপি!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:১৪, সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০২৪, ১১ চৈত্র ১৪৩০

*ভারত বিরোধীতার  সোশ্যাল ইসুটিকে কাজে লাগিয়ে চতুরতার সঙ্গে এটিকে আরও উস্কে দিতে যেয়ে অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বের মুখে বিএনপি।

*ইন্ডিয়া বয়কট আন্দোলনে বিএনপির সংহতি প্রকাশের পর মোদিকে 'বিএনপি বয়কটের আহবান ভারতীয় নাগরিকদের।
 

 

 

 

সবকিছু ছাপিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে  জমে উঠেছে 'বয়কট ভারত' ইস্যু। বিশেষ করে বিরোধী দল বিএনপি ও সরকারি দল আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে এ নিয়ে রীতিমত  তর্কবিতর্ক চলছে, যার রেশ ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র।  নির্বাচনের পর থেকেই সরকার বিরোধী এক্টিভিস্টসহ কয়েকটি দলের তৎপরতায় শুরু হওয়া কথিত 'ইন্ডিয়া আউট' বা ভারতীয় পণ্য বর্জনের যে ক্যাম্পেইন, সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরও ডালপালা মেলেছে। আর এতে কৌশলে সমান তালে সায় দিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। তবে এটি করতে গিয়ে দলটির সামনে ‘মারাত্মক বিপদ‘ অপেক্ষা করছে বলেই মত বিশ্লেষকদের।

যেহেতু ভারত বিরোধীতার ইস্যুটি সোশ্যাল মিডিয়ায় 'টক অব দ্যা কান্ট্রি'য় সেহেতু 'পাবলিক সেন্টিমেন্ট' কাজে লাগাতে অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে এটিকে আরও উস্কে দিতে চাইছে বিএনপি। কিন্তু এটি করতে গিয়ে ইতোমধ্যে দলটিকে অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বের মুখে পড়তে হয়েছে। কারণ আদর্শগতভাবে বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত। একটা  ভারতপন্থী। আরেকটি ভারত বিদ্বেষী তথা জামায়াতপন্থী।

ফলে বিএনপির কতিপয় নেতার প্রকাশ্যে 'ইন্ডিয়া বয়কট' আন্দোলনের ডাক বা সংহতি প্রকাশ শুরুতেই ভারতপন্থীদের বিরোধীতার মুখে পড়েছে। আর এ কারণেই এখনও দলীয় সিদ্ধান্তে না গিয়ে হাইকমান্ডের ইশারায় যে যার মতো করে ভারত বিরোধীতা করছে।

মূলত বিএনপি চাচ্ছে এই ইস্যুটিকে কাজে লাগিয়ে সরকার বিরোধীরা যেন আওয়ামী লীগ বিরোধিতায় সরব হয়। কারণ তারা জানে আওয়ালীগ সরকারের সাথে ভারতের সম্পর্ক ভালো। কাজেই ভারত বিরোধীতা মানে আওয়ামী লীগ বিরোধীতা। আর এটার সূত্র ধরেই বিএনপির লক্ষ্য আওয়ামী লীগকে কোনঠাসা করা। কিন্তু এতে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে মনে করছেন শরিক জোটের অনেক নেতা এমনকি খোদ বিএনপির কতিপয় শীর্ষ নেতাও।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি মনে প্রাণে বিশ্বাস করেছিল যে, ভারত শেষ পর্যন্ত হয়তো বিরোধী দল হিসেবে বিএনপিকেও হাতে রাখতে চায়। তবে  ভারত এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বিকল্প হিসেবে বিএনপিকে ভাবতে পারেনি। এর জন্য বিএনপি অনেক চেষ্টাও করেছিল। এরই অংশ হিসেবে ভারতের কথায় দলটি প্রধান মিত্র রাজপথের সর্বসময়ের সঙ্গী জামায়াতকে দূরে সরিয়েছিল। এ জন্য জামায়াতের সাথে বিএনপির দ্বন্দ্ব স্থায়ী রূপ নেয়,যদিও যুগপৎ আন্দোলনে জামায়াত রাজপথে নিয়মরক্ষার অংশ হয়েছিল। ফলে সেই আন্দোলনে জামায়াত জোরালো ভাবে কোনো প্রদক্ষেপ নেয়নি।

সব মিলিয়ে বিএনপি ভারতকে খুশি রাখতে একদিকে নিজ দেশের নিজ দলের প্রধান শরীক দলকে হারালো। অন্যদিকে, ইন্ডিয়া বয়কট আন্দোলনে সংহতি প্রকাশের ফলে সেই ভারতকেই দলটি স্থায়ীভাবে হারাতে পারে।কেননা ভারতবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির সংহতি প্রকাশের পর ভারতীয় নাগরিকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়ে বিজেপি সরকার তথা মোদিকে বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে চিরতরে  বয়কটের আহবান জানাতে শুরু করেছে।কাজেই বিএনপির সাথে ভারতের অতীত বিবেচনার সাথে সাথে ফের এই বিষয়টিকে আমলে আনলে বিএনপি জটিল সমস্যায় পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Share This Article


কি ঘটেছিলো ফরিদপুরে:সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতা চাইছে কারা?

জেলে থাকা নেতাকর্মীর সংখ্যা নিয়ে কাদেরের চ্যালেঞ্জে বেকায়দায় বিএনপি!

বিএনপিতে ফের ভারত বিরোধিতা উসকে দিতে তৎপর রিজভী: ক্ষুব্ধ সিনিয়র নেতারা!

যে তিন কারণে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে চায় বিএনপির তৃণমূল

উপজেলা নির্বাচন: ফের গণবহিস্কার বিএনপিতে!

উপজেলা নির্বাচন: বিএনপিকে ধোঁকা দিল জামায়াত!

উপজেলা নির্বাচন বর্জন : লাভের চাইতে ক্ষতি বেশি বিএনপির!

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সংকটে বিএনপি: প্রকাশ্য বিদ্রোহ!

ফের কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ: ব্রিটিশ ও মার্কিন কূটনীতিকদের তৎপরতা শুরু!

বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম কি কমেছে?

দেশের মানুষের ‘নিরাপত্তা’ নিয়ে ইউনুসের দুশ্চিন্তা: সোশ্যাল মিডিয়ায় হাস্যরস!

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন ১৭ এপ্রিল