খানসামায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে ভুট্টা চাষ

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:৫০, বুধবার, ২০ মার্চ, ২০২৪, ৬ চৈত্র ১৪৩০

কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় দিনাজপুরের খানসামায় ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। ধান চাষের চেয়ে কম খরচের কারণে স্বচ্ছলতার স্বপ্ন নিয়ে ভুট্টা চাষে ঝুঁকেছে এই অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষক। আবহাওয়া ও মাটি উপযোগী হওয়ায় ভুট্টা চাষ করে নিজেদের ভাগ্য ফেরাচ্ছেন চাষিরা। তাই দিন দিন ভুট্টা চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এ অঞ্চলে।

 

খানসামা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর জানায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় স্বল্প খরচে অধিক লাভের ফলে প্রতিবছর ভুট্টা চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২০২২-২৩ মৌসুমে এই উপজেলায় ভুট্টা চাষ হয় ৮২৮৫ হেক্টর। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ভুট্টা চাষ হয়েছে ৮৪৯০ হেক্টর। এরমধ্যে পপকর্ণ ভুট্টা ১৬৬০ হেক্টর ও হাইব্রিড ভুট্টা ৬৮৩০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।

খানসামার গোয়ালডিহি, কাচিনীয়া, হোসেনপুর ও টংগুয়া গ্রামে দেখা যায়, প্রায় সব জায়গায় কৃষকের বিস্তির্ণ ফসলের মাঠ এখন ভুট্টার সবুজ খেতে ভরা। ভুট্টার খেতে লকলকে সবুজ পাতার ফাঁকে আসতে শুরু করেছে ফুল ও ভুট্টার মোচা। এ দেখে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। তাই ভুট্টা খেতগুলোর পরিচর্যা ও সেচ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। ভুট্টার সাথে বিভিন্ন সাথী ফসল চাষেও বাড়তি লাভবান হচ্ছে কৃষক। 
কৃষকরা জানায়, প্রতি বিঘা (৫০শতক) জমিতে চাষ,বীজ, সেচ, সার ও কীটনাশক এবং পরিচর্যা বাবদ পপকর্ণ ভুট্টা চাষে খরচ হয় প্রায় ৩০ হাজার টাকা ও হাইব্রিড ভুট্টা চাষে প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি বিঘায় হাইব্রিড ফলন হয় প্রায় ৬৫-৭০ মণ ও পপকর্ণ ভুট্টার ফলন হয় ৪০-৪৫ মণ। হাইব্রিড ভুট্টা প্রতি মণের বর্তমান বাজার মূল্য ১২-১৩শ টাকা এবং পপকর্ণ ভুট্টা ১৫০০-১৬০০ টাকা প্রতি মণ। এতে প্রায় খরচের সমপরিমাণ টাকা লাভ হয়।

বালাপাড়া গ্রামের ভুট্টা চাষি লিটন ইসলাম বলেন, ভুট্টার উৎপাদন খরচ যেমন কম, দামও তেমন বেশি। চলতি বছর ১ বিঘা হাইব্রিড ভুট্টা চাষ করেছি। এতে প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা লাভ হবে।

পাকেরহাট গ্রামের মজনু আলম বলেন, ভুট্টা চাষে অন্যান্য ফসলের তুলনায় খরচ ও পরিশ্রম কম। দামও ভালো পাওয়া যায়।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা যদুনাথ রায় বলেন, ভুট্টার ক্ষতিকর বালাই সম্পর্কে কৃষকদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করার কথা জানান তিনি।  

খানসামার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবা আক্তার বলেন, চলতি মৌসুমে গতবারের চেয়ে ভুট্টার আবাদ বেশী হয়েছে। সবধরনের ফসল উৎপাদনে কৃষকদের আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করছি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। ভুট্টার পোল্ট্রি ফিড ব্যতীত এর বহুমুখী ব্যবহারে এগিয়ে আসলে এই ফসলটির স্থায়িত্ব এবং চাষাবাদ আরো বেড়ে যাবে বলে জানান তিনি।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article