কীটপতঙ্গ ফসল নষ্ট করে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ: গবেষণা

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ রাত ০৮:০৬, শনিবার, ৯ মার্চ, ২০২৪, ২৪ ফাল্গুন ১৪৩০

কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ফসল উৎপাদনে ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ এখনও বড় চ্যালেঞ্জ। ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ ২০ থেকে ৩০ শতাংশ ফসল নষ্ট করে। তারা আরও জানান, বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বিশ্বব্যাপী কীটপতঙ্গের দ্রুত বিস্তার ঘটছে। এ অবস্থায়, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে উদ্ভূত কীটপতঙ্গের উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ রাখার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি কমানোর প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

 

শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের অডিটরিয়ামে ‘পাঁচ দশকে কীটতাত্ত্বিক গবেষণা ও উন্নয়ন এবং উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন’ শীর্ষক দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় কৃষি বিশেষজ্ঞরা এ তাগিদ দেন। বাংলাদেশ কীটতত্ত্ব সমিতি সম্মেলনটি আয়োজন করে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকারের সভাপতিত্ব করেন। অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার।

বাংলাদেশ কীটতত্ত্ব সমিতির সাবেক সভাপতি এবং আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক ড. সৈয়দ নুরুল আলম সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

তিনি জানান, মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়, পরিবেশ দূষিত ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয় এবং কীটনাশক রেজিস্ট্যান্টস হয়। প্রবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশে কীটনাশকের যথেচ্ছ ব্যবহার হয়। তবে বর্তমান সরকারের পদক্ষেপের কারণে যথেচ্ছ ব্যবহারের পরিমাণ কমছে। ২০০৯-১০ এর তুলনায় ২০২১-২২ সালে ১৯ শতাংশ কীটনাশক কম ব্যবহার হয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার তার বক্তব্যে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত উদ্ভূত কীটপতঙ্গের উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ রাখার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি কমানোর প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করার জন্য কীটতত্ত্ববিদদের আহ্বান জানান।

সম্মেলনে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে বিশ্বব্যাপী কীটপতঙ্গের দ্রুত বিস্তার ঘটছে। কৃষকেরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কীটপতঙ্গের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। কীটপতঙ্গ আক্রমণের বিস্তারণের জন্য বর্তমানে বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পতিত। এ পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি হ্রাস করতে কার্যকর পরিবেশবান্ধব বালাই ব্যবস্থাপনা উদ্ভাবন ও বাস্তবায়নের ওপর সম্মেলনে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়।

Share This Article