সৈয়দপুরে বোরো খেতের ইঁদুর তাড়াতে পলিথিন ঝাণ্ডা

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:৩১, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩০

পোকার আক্রমণ ও ইঁদুরের উপদ্রব তাদের চিন্তায় ফেলেছে। তারা পোকা দমনে বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করলে এবং ইঁদুর তাড়াতে কীটনাশক ব্যবহার করেও কোনো সুফল পাচ্ছিলেন না। সন্ধ্যার পর বোরোর খেতে ইঁদুর এসে গাছের গোড়া কেটে দিচ্ছে। 

নীলফামারীর সৈয়দপুরে বোরো খেতে ইঁদুরের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। এ অবস্থায় তারা কৃষি বিভাগের পরামর্শে বোরো খেতে পলিথিনের ঝাণ্ডা উড়িয়েছেন। বাতাসের শব্দে পতপত শব্দ করে উড়ছে পলিথিন। এতে খেতে ইঁদুরের উপদ্রব অনেকটাই কমে এসেছে বলে মনে করছেন চাষিরা।

 

জানা যায়, নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে বোরো মৌসুমের শুরুতে প্রচণ্ড খরা ও অনাবৃষ্টির কবলে পড়ে। ফলে বোরোর চাষাবাদ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন চাষিরা। এ অবস্থায় সেচযন্ত্র চালিয়ে বোরোর চারা রোপণ করেন তারা। পরে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বেড়ে ওঠে বোরোর খেত। এতে চাষিদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।

 

কিন্তু এরই মধ্যে পোকার আক্রমণ ও ইঁদুরের উপদ্রব তাদের চিন্তায় ফেলেছে। তারা পোকা দমনে বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করলে এবং ইঁদুর তাড়াতে কীটনাশক ব্যবহার করেও কোনো সুফল পাচ্ছিলেন না। সন্ধ্যার পর বোরোর খেতে ইঁদুর এসে গাছের গোড়া কেটে দিচ্ছে। পরদিন সেই আমনের গাছ গবাদি পশুকে খাওয়ানো ছাড়া কোনো উপায় থাকছে না। ফলে তারা চিন্তিত হয়ে কৃষি বিভাগের দ্বারস্থ হন। কৃষি বিভাগ বোরোর খেতে পলিথিন ঝাণ্ডা ওড়ানোর পরামর্শ দেন।

 

উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের বাগডোকরা গ্রামের কৃষক মোজাক্কের জানান, বোরো খেতে ইঁদুরের উপদ্রব থেকে বাঁচাতে পলিথিনের নিশান উড়িয়ে উপকার পেয়েছেন। তিনি বলেন, নদী-নালা এলাকার জমিতে মূলত ইঁদুরের উপদ্রব সবচেয়ে বেশি। উপজেলার কামারপুকুর, কাশিরাম বেলপুকুর, খাতামধুপুর, বাঙ্গালীপুর, বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন ও সৈয়দপুর পৌর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় শতাধিক একর জমিতে ইঁদুরের উপদ্রব দেখা দিয়েছে।

সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভূষণ বলেন, এ বছর উপজেলার লক্ষ্যমাত্রার বেশি জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। খেতের পোকামাকড় ও ইঁদুরের উপদ্রব থেকে ফসল রক্ষা করার জন্য মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছেন।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article