পিঁয়াজ রোপণে ব্যস্ত কৃষক

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:৪০, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৮ পৌষ ১৪৩০

বীজতলা থেকে চারা তুলছেন কৃষক। কেউ কেউ আবার সেই চারা জমিতে রোপণ করা করছেন। একেক খন্ড জমিতে ২০ থেকে ৩০ জন শ্রমিক পিঁয়াজ চারা রোপণ করছেন। পৌষের শেষের দিকে রাজবাড়ীতে হালি পিঁয়াজ লাগানো শেষ হবে। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পিঁয়াজ রোপণে খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। পিঁয়াজ বীজের অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে। 

পিঁয়াজ উৎপাদনে দেশে তৃতীয় অবস্থান রাজবাড়ী জেলার। দেশের মোট চাহিদার ১৪ শতাংশ পিঁয়াজ সরবরাহ করেন এখানকার কৃষক। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর রাজবাড়ীতে ৪ লাখ ৩৭ মেট্রিক টন পিঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে হালি পিঁয়াজ রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। হালি পিঁয়াজ বাজারে আসা শুরু করবে ফাল্গুনের মাঝামাঝি থেকে। চৈত্র মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত জমি থেকে হালি পিঁয়াজ ঘরে তুলবেন জেলার কৃষক। তখন প্রতি মণ পিঁয়াজের দাম আসতে পারে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত। কৃষকদের দাবি পিঁয়াজ ঘরে তোলার মৌসুমে প্রতি মণ পিঁয়াজ ২৫০০ টাকা রাখার দাবি।

গতকাল জেলার রাজবাড়ী সদর ও বালিয়াকান্দি উপজেলার মাঠে গিয়ে দেখা যায়, বীজতলা থেকে চারা তুলছেন কৃষক। কেউ কেউ আবার সেই চারা জমিতে রোপণ করা করছেন। একেক খন্ড জমিতে ২০ থেকে ৩০ জন শ্রমিক পিঁয়াজ চারা রোপণ করছেন। পৌষের শেষের দিকে রাজবাড়ীতে হালি পিঁয়াজ লাগানো শেষ হবে। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পিঁয়াজ রোপণে খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। পিঁয়াজ বীজের অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে। এ ছাড়া রাজবাড়ীতে এ মৌসুমে শ্রমিক সংকট দেখা দেয়। দিনপ্রতি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে শ্রমিক দিয়ে পিঁয়াজ লাগাতে হয়। সার ও কীটনাশকের দামও বেড়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে পিঁয়াজ উৎপাদনে খরচ হয় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা।

কয়েকজন কৃষক বলেন, মৌসুমে পিঁয়াজের দাম ২ হাজার ৫০০ টাকা করে রাখলে কৃষকরা লাভবান হবে। পিঁয়াজ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া হাটে প্রতি মণ পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৮০০ টাকা। বুধবার জেলার জামালপুর হাটে প্রতি মণ পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ২০০ টাকায়। বৃহস্পতিবার রাজবাড়ী সদর উপজেলার কোলারহাটে প্রতি মণ পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৪০০ টাকায়। ব্যবসায়ী তৈয়ব আলী মন্ডল বলেন, পিঁয়াজ ৩ হাজার টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। রাজবাড়ীর হালি পিঁয়াজ বাজারে এলে এর দাম কমবে।

 

জেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, রাজবাড়ীতে ৩ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে পিঁয়াজের বীজতলা দিয়েছেন কৃষক। এই বীজতলা দিয়ে ৩২ হাজার হেক্টর জমিতে পিঁয়াজের আবাদ হবে। হালি পিঁয়াজ বাজারে এলে দাম কমবে। রাজবাড়ীতে এ বছর ১৩ হাজার কৃষককে বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ বছর রাজবাড়ীতে ৪ লাখ ৩৭ মেট্রিক টন পিঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর ৪ লাখ ২৮ হাজার মেট্রিক টন পিঁয়াজ উৎপাদন হয়েছিল পদ্মাপারের ছোট্ট এই জেলায়।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article