হলদে ফুলকপিতে স্বপ্ন বুনছেন কালকিনির কৃষক

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:৩৪, শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০২৪, ২৩ ফাল্গুন ১৪৩০

উপজেলার পৌর এলাকার কাসিমপুর গ্রামের কৃষক চেয়ার আলী উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে ১০ শতক জমিতে সুনেলা জাতের হলুদ ফুলকপি চাষ শুরু করেন। পুরো প্রক্রিয়া একজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয়। নতুন জাতের দৃষ্টিনন্দন এ ফুলকপি দেখতে ছুটে আসছেন আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। 

মাদারীপুরের কালকিনিতে প্রথম হলুদ রঙের ফুলকপি চাষ করে সাড়া ফেলেছেন কৃষক চেয়ার আলী সরদার। কম খরচে অধিক লাভের আশায় এতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন কৃষক। কৃষি বিভাগ বলছে, পুষ্টি-গুণসমৃদ্ধ নতুন জাতের এ ফুলকপির চাষ বাড়াতে সব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামীতে এ সবজির চাষ ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

 

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার পৌর এলাকার কাসিমপুর গ্রামের কৃষক চেয়ার আলী উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে ১০ শতক জমিতে সুনেলা জাতের হলুদ ফুলকপি চাষ শুরু করেন। পুরো প্রক্রিয়া একজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয়। নতুন জাতের দৃষ্টিনন্দন এ ফুলকপি দেখতে ছুটে আসছেন আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। আগামীতে আরও ব্যাপকভাবে এ ফুলকপি চাষ করতে চান তারা। 

 

চেয়ার আলী বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ ও সার বিনামূল্যে পেয়েছি। ১০ শতক জমিতে চাষা করেছি। প্রতি পিস ফুলকপিতে খরচে হয়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মিল্টন বিশ্বাস বলেন,  আমরা জানি, এ জাতের ফুলকপি অত্যন্ত ভিটামিনসমৃদ্ধ। তাই সাধারণ ভোক্তা যেন সহজে পুষ্টি ও ভিটামিন পেতে পারে, তাই আগামী বছর এই জাতের ফুলকপি যেন আরও বেশি চাষ করা হয়, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যে কৃষি বিভাগের সহায়তায় কৃষকদের বিনামূল্যে সার-বীজ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। 

 

কালকিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার দাস বলেন, উপজেলায় প্রদর্শনী খামারের মাধ্যমে প্রথম সুনেলা জাতের ফুলকপি চাষ করা হচ্ছে। এ উপজেলায় রঙিন ফুলকপির চাষ বাড়াতে ও কৃষকদের উৎসাহী করতে উপজেলা প্রশাসন থেকে কৃষকদের সব সহযোগিতা দেওয়া হবে।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article