উপনির্বাচনের প্রার্থী হিরো আলম নাকি বিএনপি?

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:২৬, সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ২৩ মাঘ ১৪২৯
  • ফলাফল নিয়ে কারচুপি করা হয়েছে
  • হিরো আলম স্বতন্ত্রতা নিয়ে ধোঁয়াশা 
  • মাঠে গোপনে প্রচারণা চালায় বিএনপির নেতারা
  • রুমিন ফারহানাদের অবস্থান ছিল ওপেন সিক্রেট 


 

সম্প্রতি বিএনপি এমপিদের পদত্যাগ করা ছয়টি আসনে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে অন্যান্য আসনগুলোর ফলাফল নিয়ে বিতর্ক না হলেও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। ওই আসনে হিরো আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও নির্বাচনের আগে ও পরে বিএনপি নেতা-কর্মীরা তার পক্ষে যেভাবে কোমর বেঁধে নেমেছেন, তাতে স্বভাবতই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, আলম কি স্বতন্ত্র নাকি বিএনপি মনোনীত প্রার্থী!

বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা রেজাউল করিম তানসেন বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মশাল প্রতীকে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম একতারা প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজfর ৫৭১ ভোট।

নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর নির্বাচনে কারচুপি করা না হলেও ফলাফল নিয়ে কারচুপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন পরাজিত প্রার্থী হিরো আলম। পরে এই প্রার্থীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই বলে জানায়।

নির্বাচন চলাকালে কারচুপি নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি আলম। পরে তিনি কার পরামর্শে, কাদের ইন্ধনে কারচুপির অভিযোগ আনলেন এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে।

সমালোচকরা বলছেন, উপনির্বাচন নিয়ে এই বিতর্ক সৃষ্টির পেছনে বিরোধীদের ইন্ধন রয়েছে। কেন না মাঠের বিরোধী দল বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানাসহ দলটির সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ আলমের পক্ষে নির্বাচনের আগে থেকে শুধু কথা বলেই ক্ষান্ত হননি, তার পক্ষে দলটির অনেক নেতা-কর্মীকে প্রচারণায় অংশ নিতেও দেখা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বগুড়া বিএনপির এক নেতা বলেন, সত্যি কথা বলতে গণতান্ত্রিক চর্চার অংশ হিসেবে তৃলমূল বিএনপির নেতারা নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের কারণে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। তাই হিরো আলমের পক্ষে নিজ দায়িত্বে প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন দলের অনেক নেতা-কর্মী। যেহেতু হিরো আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন, তাই তার পক্ষে কাজ করা দোষের কিছু নয়। বিএনপির নেতা-কর্মীরা সাথে থাকায় হিরো আলমের মতো ইউটিউবারও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এতো ভোট পেয়েছেন।

সূত্রমতে, সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করতেই দলীয় হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তে আলমের পক্ষে গোপনে বিএনপির তৃণমূল নেতারা কাজ করেছেন। আলমের পক্ষে রুমিন ফারহানাসহ বিএনপি নেতা-কর্মীদের অবস্থান এতটাই ওপেন সিক্রেট ছিল যে সমালোচকরা বলছেন, আলম কাগজে-কলমে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও প্রকৃত পক্ষে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীতে পরিণত হয়েছিলেন।

বিষয়ঃ ভোট

Share This Article


বিএনপিতে ফের ভারত বিরোধিতা উসকে দিতে তৎপর রিজভী: ক্ষুব্ধ সিনিয়র নেতারা!

যে তিন কারণে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে চায় বিএনপির তৃণমূল

উপজেলা নির্বাচন: ফের গণবহিস্কার বিএনপিতে!

উপজেলা নির্বাচন: বিএনপিকে ধোঁকা দিল জামায়াত!

উপজেলা নির্বাচন বর্জন : লাভের চাইতে ক্ষতি বেশি বিএনপির!

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সংকটে বিএনপি: প্রকাশ্য বিদ্রোহ!

ফের কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ: ব্রিটিশ ও মার্কিন কূটনীতিকদের তৎপরতা শুরু!

বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম কি কমেছে?

দেশের মানুষের ‘নিরাপত্তা’ নিয়ে ইউনুসের দুশ্চিন্তা: সোশ্যাল মিডিয়ায় হাস্যরস!

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন ১৭ এপ্রিল

আন্দোলন নিয়ে শরিকদের কোনো দিক নির্দেশনা দিতে পারছে না বিএনপি!

কখনোই যাকাত-ফেতরা দেননা ড. ইউনুস!