কখনোই যাকাত-ফেতরা দেননা ড. ইউনুস!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:১৯, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩০

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ব্যাংকটির এমডি হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।বর্তমানে তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন গ্রামীণ নামধারী প্রায় ৫০টি প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সম্পদের পরিমাণ প্রায় দশ হাজার কোটি টাকারও বেশি।


 

 

 

গ্রামীণ টেলিকম ভবনে গত ১৪ এপ্রিল নিজ সহকর্মীদের সাথে ঈদ-উল-ফিতর এবং বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। উপস্থিত সকলের সাথেই ফটোশেসনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি এবং এর একদিন পর ইউনূস সেন্টারের অফিসিয়্যাল ফেসবুক পেজ থেকে সেই ধারণকৃত ছবির দৃশগুলো শেয়ার দেওয়া হলে তাতে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন নেটিজেনরা।

সেখানে অনেকেই বলেন, ঈদের দুইদিন পর নিজ সহকর্মীদের সাথে সাক্ষাৎ করলেও গরীব ও অসহায়দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়তো দূরে থাক, সেদিন ইউনুস সেন্টারে আগত অনেক দরিদ্র মানুষ তাকে সালাম করতে গেলেও তিনি তা এড়িয়ে যান, এমনকি ঈদের আগেও তার বাসায় যাকাত ফেতরা নিতে যাওয়া দরিদ্র মানুষকে  তার দরজা থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়।

সূত্রমতে, ড. ইউনুস কখনোই যাকাত-ফেতরা দেননা। এ ধরণের কোনো তথ্য পাওয়া যায়না, অথচ যাকাত ও ফেতরা একটি নির্ধারিত ফরজ ইবাদত সক্ষম ব্যাক্তিদের জন্য। এগুলো গরিবের পাওনা বা অধিকার, কোনো করুণার দান নয়। হাদিসে এসেছে, যারা নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক অর্থাৎ কমপক্ষে সাড়ে সাত তোলা সোনা অথবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার সমতুল্য সম্পদ বা অর্থ রয়েছে তাদের উপর যাকাত বা ফেতরা ফরজ।

উল্লেখ্য, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ব্যাংকটির এমডি হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।বর্তমানে তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন গ্রামীণ নামধারী প্রায় ৫০টি প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সম্পদের পরিমাণ প্রায় দশ হাজার কোটি টাকারও বেশি। অথচ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ড. ইউনূস কখনোই যাকাত বা ফেতরার ধার ধারেনি। বরং তিনি এই ফরজ ইবাদত পালন না করে চড়া সুদে গরীবদের ঋণ দিয়েছেন মাত্র।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গরীবদের মাঝে অর্থ দান করার মনমানসিকতা কখনোই ছিল না ড. ইউনূসের। যদি তিনি এগুলো নিয়ে ভাবতেন তাহলে একজন সাধারণ চাকুরিজীবী হয়েও এতো বড় বিশাল সম্রাজ্যের মালিক হতে পারতেন না। কাজেই এই অনৈতিক কাজ করেছেন বলেই আজ তিনি দুর্নীতি মামলার আসামি এবং প্রচলিত আইন মেনে তিনি শাস্তিও পেয়েছেন।

Share This Article