চুপসে গেছে গুজব বাহিনী!

সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে নানারকম গুজব মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।দেশে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি আর স্বাভাবিক হবে না, লোডশেডিং আরও বাড়বে, ব্যাংকে টাকা নেই, বাংলাদেশ শ্রীলংকা হয়ে যাচ্ছে বলে দেশ-বিদেশে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে করোনার সময়ও লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হবে বলে ভীতি ছড়ানোর কাজে লিপ্ত ছিল দেশের একটি রাজনৈতিক মহল।
এছাড়া করোনার টিকা নিয়ে জনগণ যখন আগ্রহী হয়ে ওঠে তখনও টিকা না নিতে প্ররোচিত করার মতো কাজে লিপ্ত ছিল ওই মহলটি। এসব গুজবের কারণে জনমনে সাময়িক ভীতি সৃষ্টি হয়েছিল। তারও আগে পদ্মাসেতু নিয়েও অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল গুজব চক্রটি।
সূত্রমতে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা ১৪ বছরের শাসনামলে সরকারের বিরুদ্ধে বড় কোনো আন্দোলন গড়ে তোলা বা সরকারকে কোনোভাবে বেকায়দায় ফেলতে না পেরেই গুজবের মতো একটি ভয়ংকর অস্ত্রকে ব্যবহার করতে শুরু করে ওই মহলটি, যদিও সরকারের কৌশল ও সতর্ক পদক্ষেপে এই অস্ত্রটিও ব্যর্থ হয়। তবে গুজব ছড়াতে ছড়াতে নিজেদের নোংরামির ফাঁদেই আটকা পড়েছে রাজনৈতিক এই গুজব চক্র।
সমালোচকদের মতে, এই গুজব চক্রের সাথে বা পেছনে সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে বিএনপির। কেননা সরকারের বিপক্ষে যায় এমন সব ধরণের অপপ্রচারে বুঝে না বুঝে সমর্থন ও সহযোগিতা করে আসছে দলটি। কিন্তু এই গুজব চক্রের ফাঁদে এখন নিজেরাই আটকা পড়ে গেছে তারা। অবস্থা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে বিএনপির মুখে সরকার বিরোধী কোনো সমালোচনাই আর সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করছে না। আর এর প্রভাব পড়েছে তাদের সকল আন্দোলন কর্মসূচিতেই। ফলে জনসম্পৃক্ততার অভাবে তাদের চলমান সকল আন্দোলন কর্মসূচিই এখন গতিহীন হয়ে পড়েছে।