আতিয়া মসজিদের ইতিকথা

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১১:২০, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩০

১৬১০ থেকে ১৬১১ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে নির্মিত হয় মোগল বাদশাহ জাহাঙ্গীরের আমলে। করোটিয়ার জমিদার বায়েজিদ খান পন্নী শাহান শাহ বাবা আদম কাশ্মীরির সম্মানে এই মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দেন। বাবা আদম কাশ্মীরি ছিলেন একজন সুফি সাধক। 

চার গম্বুজবিশিষ্ট আতিয়া মসজিদ বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলায় অবস্থিত। মসজিদটি সপ্তদশ শতকে মোগল শাসনামলে লোহজং নদীর পূর্ব পাড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর স্থাপনাটিকে সংরক্ষিত কীর্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। মসজিদটি টাংগাইল জেলা সদর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে দেলদুয়ার উপজেলার আতিয়া গ্রামে অবস্থিত। 

 

এটি ১৬১০ থেকে ১৬১১ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে নির্মিত হয় মোগল বাদশাহ জাহাঙ্গীরের আমলে। করোটিয়ার জমিদার বায়েজিদ খান পন্নী শাহান শাহ বাবা আদম কাশ্মীরির সম্মানে এই মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দেন। বাবা আদম কাশ্মীরি ছিলেন একজন সুফি সাধক। তিনি ১৫০৭ খ্রিষ্টাব্দে আতিয়ায় ইন্তেকাল করেন। তাকে এই মসজিদের সন্নিকটে দাফন করা হয়।

মসজিদটি ঊনবিংশ শতাব্দীতে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৮৩৭ সালে দিল্লির নারী ব্যবসায়ী রওশন খাতুন চৌধুরাণী মসজিদটি সংস্কার করেন। এছাড়া ১৯০৯ সালে দেলদুয়ারের জমিদার আবু আহমেদ গজনবী খান অন্যান্য স্থানীয় জমিদার, বিশেষত করোটিয়ার জমিদার ওয়াজেদ খান পন্নীর সহযোগিতায় আরেক দফা সংস্কার করেন। মূলত মোগল স্থাপত্যকলায় বাংলা সালতানাতে মসজিদটি নির্মিত হয়েছে। এটি ১৮.২৯ মিটার দীর্ঘ ও ১২.১৯ মিটার প্রস্ত। এর দেওয়াল ২.২৩ মিটার পুরু। আয়তাকার মসজিদটি একটি বড় গম্বুজবিশিষ্ট। মসজিদের ভেতরে চারকোনাবিশিষ্ট নামাজের হল রয়েছে। পূর্ব দিকে রয়েছে বারান্দা, যার ওপর আরো তিনটি ছোট গম্বুজ বিদ্যমান। মসজিদটিতে প্রবেশে তিনটি খিলানবিশিষ্ট প্রবেশপথ রয়েছে।


বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৮ সালের ৩ আগস্ট ব্যাংক নোট ১০ টাকায় এই মসজিদের ছবি মুদ্রিত করে বাজারে ছাড়ে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ সালে মসজিদটির ৪০০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শাহান শাহ হাইস্কুলে পালিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আবুল বাতেন এবং বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান ফারুক উপস্থিত ছিলেন। আতিয়া মসজিদ পরিচালনা কমিটির বর্তমান সভাপতি সৈয়দ মাজহারুল হক আনু এবং মসজিদটির সম্মানিত পেশ ইমাম ও খতিব মুফতি মোজাম্মেল হক। জানা যায়, তিন মাস আগে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক মসজিদটির ভেতরে ও বারান্দায় আরেক দফা সংস্কারকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

লেখক: উপপরিচালক (অব.), সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সভাপতি, রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, সেক্টর-১৮, উত্তরা, ঢাকা

বিষয়ঃ ইতিহাস

Share This Article


ঢাকা থেকে ট্রেনে তিন ঘণ্টায় খুলনা, ভাড়া মাত্র ৫৫০ টাকা

মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন: প্রধানমন্ত্রী

সড়ক দুর্ঘটনায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকের মৃত্যু

৪ বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে

কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে হবে : ইসি রাশেদা

চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড

কালবৈশাখীর তাণ্ডব, সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ

সারাদেশে হিটস্ট্রোকে ৬ জনের মৃত্যু

সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিনের দুই সন্ত্রাসী নিহত, গোলা উদ্ধার

১৩ বছর পর ভোট পেয়ে উৎসব আমেজে কেন্দ্রে ভোটাররা

নওগাঁর নিয়ামতপুরে হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু

আপাতত রক্ষা পাচ্ছে ৩ সহস্রাধিক গাছ