পুলিশের ওপর হামলা ও কার্যালয়ে বিস্ফোরক দ্রব্যের মজুত: কি বার্তা দিলো বিএনপি?
১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিএনপি পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ করতে চায়। অন্যদিকে পুলিশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়।
জানা যায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে নারাজ বিএনপি। তারা পুলিশের আদেশ অমান্য করে সমাবেশের তিন দিন আগেই অফিস চলাকালীন সময়ে নয়া পল্টনের ব্যস্ত রাজপথ বন্ধ করে দেয়। তাতে পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর চড়াও হন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
দলীয় কার্যালয় থেকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ও ককটেলও নিক্ষেপ করা হয়।এরই প্রেক্ষিতে পল্টনের দলীয় কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।সেখানে পাওয়া যায় প্রচুর বিস্ফোরক দ্রব্য,কিছু আগ্নেয়াস্ত্র ও অসংখ্য রড ও লাঠিসোটা।বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যায় পুলিশ।ফলে কার্যালয়ে বিস্ফোরক সামগ্রী রাখা, পুলিশের ওপর হামলা এবং নাশকতার ঘটনায় বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।এ মামলায় বিএনপির ৪৭৩ নেতাকর্মীকে আটক করার পর আদালতে হাজির করা হয়েছে।
মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের আহ্বায়ক আবদুস সালাম ও আমানউল্লাহ আমানকে আসামি করা হয়েছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, পুলিশের ওপর বিএনপি নেতা-কর্মীদের অতর্কিতে হামলা এবং দলীয় কার্যালয়ে অস্ত্র,প্রচুর বিস্ফোরক ও রোড,লাঠিসোটা মজুতের ঘটনা প্রমান করে পল্টন দলীয় কার্যালয় ব্যবহার করে ১০ ডিসেম্বর তারা বড় ধরণের সহিংসতা চালিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে ভয়ংকর কোনও পৰিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায়।আর এ কারণেই হয়তো তারা নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে এতোটা অনড় অবস্থান নিয়েছে।