যত মার্কিন কর্মকর্তাই আসুন বিএনপির আশাবাদী হওয়ার ন্যূনতম কারণ নেই!
![যত মার্কিন কর্মকর্তাই আসুন বিএনপির আশাবাদী হওয়ার ন্যূনতম কারণ নেই!](/Uploads/Images/News/2024/5/Image-23870-20240513071304.webp)
- আবারও বাংলাদেশে আসছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু
- লুর দুটি সফরেই দৃষ্টি ছিল মাঠের বিরোধী দল বিএনপির
- আওয়ামী লীগবিএনপি দুই দলকে সংলাপের তাগিদ দিয়েছেন লু
- কৌশলগত কারণে ঢাকা ইস্যুতে দিল্লির কথার বাইরে যাবে না ওয়াশিংটন
দুই দিনের সফরে ১৪ মে বাংলাদেশে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। তার ঢাকা সফরটি হবে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে উচ্চপর্যায়ের প্রথম সফর। এটি গত সোয়া এক বছরে তার তৃতীয়বার ঢাকা সফর।
ডোনাল্ড লু ছাড়াও ৭ জানুয়ারীর নির্বাচনের আগে বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ মার্কিন প্রতিনিধিও ঢাকা সফর করেন। কিন্তু তারা বিএনপির সুরে কথা বললেও সরকারকে তেমন চাপে ফেলতে পারেনি। যদিও দেশটি আদৌ চাপে ফেলতে চেয়েছিল কিনা সে প্রশ্নও উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগের বছর ডোনাল্ড লুর দুটি সফরেই দৃষ্টি ছিল মাঠের বিরোধী দল বিএনপির। দলটি আশাবাদীও হয়েছিল তার সফরে। ওই সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপিকে শর্তহীন সংলাপের আহ্বান জানান লু।
এবারও ঢাকা এসে বিভিন্ন দল ও গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। তাই তার সফর নিয়ে বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে বিএনপিসহ রাজনৈতিক অঙ্গনে, যদিও মির্জা ফখরুল তার সফরকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন।
তবে দলটির অন্দর মহলের চিত্র ভিন্ন বলে জানা গেছে। তারা লু'র সাথে বৈঠকের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। কেননা মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট আগেই এই সফরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানায় যে, পূর্ববর্তী বৈঠকগুলির ফলোআপ আলোচনার উদ্দেশ্যেই লু'র এই সফর, যেখানে বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নেয়া, বিশেষ করে 'ইন্দো প্যাসিফিক কৌশল' অগ্রাধিকার পাবে বলে নিশ্চিত করা হয়, যে কৌশলে ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
এছাড়া আঞ্চলিক প্রভাব বজায় রাখতেও বাংলাদেশ ভারতকে পাশে চায় দেশটি। কাজেই ভারতকে এড়িয়ে এককভাবে বাংলাদেশের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্তে যাবে না তা সহজেই অনুমেয়। সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও বলেছেন ডোনাল্ড লু কে নিয়ে বিএনপির স্বপ্ন পূরণ হবে না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যত মার্কিন কর্মকর্তাই ঢাকা সফরে আসুন বিএনপির আশাবাদী হওয়ার কোনো কারণ নেই। কেননা শেষ পর্যন্ত কৌশলগত কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় আপাতত দিল্লির কথার বাইরে যাবে না ওয়াশিংটন। এটাই এখনকার বাস্তবতা। কাজেই বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর উচিত বিদেশিদের দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজেদের সাংগঠনিক পুনর্গঠনসহ কার্যকরী কর্মসূচি গ্রহণ করা।