খাৎনায় মৃত্যুতে জিরো টলারেন্স : প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি, প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, এ ব্যাপারে তুমি ‘জিরো টলারেন্স’। কোনো রকম অনিয়ম, কোনো রকম গাফিলতির জন্য কোনো বাচ্চা যদি মারা যায়, তাহলে তুমি সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
খতনা করাতে গিয়ে শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে থাকতে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি, প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, এ ব্যাপারে তুমি ‘জিরো টলারেন্স’। কোনো রকম অনিয়ম, কোনো রকম গাফিলতির জন্য কোনো বাচ্চা যদি মারা যায়, তাহলে তুমি সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
উল্লেখ্য, রাজধানীতে দুই মাসের মধ্যে খতনা করাতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যু নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। গত ২০ জানুয়ারি রাতে মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার জেএস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খতনা করতে এসে মারা যায় ১০ বছর বয়সী আহনাফ তাহমিন আয়হাম।
এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর সাঁতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনার জন্য অজ্ঞান করার পর আর জ্ঞান ফেরেনি শিশু আয়ান আহমেদের। গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে সাত দিন লাইফসাপোর্টে রাখার পর ৭ জানুয়ারি তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
চিকিৎসকদের উদ্দেশে সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আমার চিকিৎসক ভাই-বোনদের বলতে চাই, আমরা সেই জায়গায় অপারেশন করব, যেখানে অপারেশন করার আগে আমাদের দেখতে হবে সেখানে সাপোর্টিং জিনিস আছে কিনা। সেটা অপারেশন করার জায়গা নাকি জায়গা না।’
‘আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক অপারেশন করেছি। সুতরাং আমি জানি কোথায় কী কী লাগে, কী কী ক্রাইটেরিয়া লাগে অপারেশন করার জন্য। সেগুলো না থাকলে কোনো অবস্থাতেই এটা করা যাবে না। এর ব্যত্যয় ঘটলে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষিতে দেশের সব বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিককে ১০টি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
নির্দেশনায় অনুযায়ী, লাইসেন্সধারী হাসপাতাল ও ক্লিনিক ছাড়া ডাক্তারের চেম্বার বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়া এবং বিএমডিসির স্বীকৃত আবেদন ছাড়া যে কোনো ধরনের অস্ত্রোপচার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
পাশাপাশি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ক্ষেত্রে যে কোনো ধরনের অস্ত্রোপচারের জন্য একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসককে সার্জনের সহকারী হিসেবে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।