নির্বাচন নিয়ে টিআইবি’র রিপোর্ট ধারণাপ্রসূত!
বিএনপির মতো একটি বড় দলের কর্মী সমর্থকসহ বৃহত্তর একটি জনগোষ্ঠী ভোট দিতে আসেনি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন অপূর্ণতা ছিল। তবে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যথেষ্ট স্বচ্ছতা পরিলক্ষিত হয়েছে।
সদ্য শেষ হওয়া জাতীয় নির্বাচনকে 'একপাক্ষিক' ও ‘পাতানো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ’বলে আখ্যা দিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। নির্বাচনে ৫১ শতাংশ কেন্দ্রে বুথ দখল, জাল ভোট ও প্রকাশ্যে সিল মারার মতো ঘটনা ঘটেছে এবং ইসির দায়িত্বে ঘাটতি ছিল বলে দাবি করেছে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তবে টিআইবির এমন দাবির সাথে সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করছেন বিশিষ্টজনরা।
প্রতিবেদন প্রসঙ্গে নির্যাচনী পর্যবেক্ষক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বলেন, নির্বাচন নিয়ে টিআইবি ঢালাওভাবে অভিযোগ করলেও তার প্রমাণ দেখাতে পারেনি। কাজেই এই প্রতিবেদন নেহাত মনগড়া ভিত্তিহীন ও ধারণাপ্রসূত হিসেবেই গণ্য হয়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির মতো একটি বড় দলের কর্মী সমর্থকসহ বৃহত্তর একটি জনগোষ্ঠী ভোট দিতে আসেনি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন অপূর্ণতা ছিল। তবে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যথেষ্ট স্বচ্ছতা পরিলক্ষিত হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের কঠোর অবস্থান ছিল চোখে পড়ার মতো। ইসির দৃঢ় অবস্থান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা সব মিলিয়ে অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলা হওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে। এমনকি ভোটের পরিবেশ দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও। কাজেই অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহযোগ্যতার মানদণ্ডে এই নির্বাচন শতভাগ সফল বলেও জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।