৮ গোলের থ্রিলারে জয় রিয়ালের

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:৪০, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৪, ২৭ পৌষ ১৪৩০

নির্ধারিত সময়ে খেলা ৩-৩ ব্যবধানে শেষ হওয়ার পর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও প্রথম ২৫ মিনিটে কোনো গোল না হওয়ায় মনে হচ্ছিল ম্যাচ গড়াবে টাইব্রেকারে। তবে একদম শেষ মুহূর্তে দুই গোল করে জয় ছিনিয়ে নেয় রিয়াল মাদ্রিদ। এই জয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে উঠেছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।

 

বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে রিয়াদের কিং সাউদ ইউনিভার্সিটি স্টেডিয়ামে স্প্যানিশ সুপার কাপের সেমিফাইনাল ম্যাচে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদকে ৫-৩ গোলে হারিয়েছে রিয়াল।

নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে জয়ের জন্য বেশ লড়তে হয়েছে রিয়ালকে। শুরুতেই তাদের পেছেনে ফেলে দেয় অ্যাতলেটিকো। ম্যাচের ৭ মিনিটে গ্রিজমানের কর্নার থেকে গোল করে অ্যাতলেটিকোকে লিড এনে দেন এরমোসো।

পিছিয়ে পড়ে যেন জেগে ওঠে রিয়াল। একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষ রক্ষণের পরীক্ষা নিতে থাকেন ভিনিসিউস-রদ্রিগোরা। সমতায় ফিরতে সময়ও লাগেনি বেশি। ২০মিনিটে লুকা মদ্রিচের কর্নার থেকে চমৎকার হেডে সমতা ফেরান রুডিগার।
রিয়াল লিডও নেয় দ্রুত সময়ের ব্যবধানে। ৩০ মিনিটে কারভাহালের নিচু ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে আলতো কিন্তু কার্যকর এক টোকায় দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠান ফারল্যান্ড মেন্ডি। পিছিয়ে পড়ে অ্যাটলেটিকোও গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। তবে কয়েকবার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি দিয়েগো সিমিওনের দল।

৩৭ মিনিটে সমতা ফেরায় অ্যাতলেটিকো। পায়ের দারুণ কারিকুরি আর দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে স্কোরলাইন ২-২ করেন গ্রিজমান। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল হয়নি।

দ্বিতীয়ার্ধেও খেলা হয়েছে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। শুরুর দিকে দুদলই কয়েকটি দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করে। তবে ৭৮ মিনিটে নিজেদের ভুলে পিছিয়ে পড়ে রিয়াল। এগিয়ে গিয়ে একটি ক্রস বিপদমুক্ত করতে চেয়েছিলেন রিয়ালের গোলরক্ষক। কিন্তু মোরাতার চ্যালেঞ্জের মুখে ঠিকমতো পারেননি। কেপার হাত ফসকে বল রুডিগারের গায়ে লেগে জড়ায় জালে।

ভেঙে পড়েনি রিয়াল। ৮৫ মিনিটে ফের সমতা টানে ইউরোপের জায়ান্ট দলটি। কারভাহালের বুলেট গতির শটের জবাব জানা ছিল না অ্যাতলেটিকো গোলরক্ষকের। পরের কিছুক্ষণ যেন ঝড় বয়ে যায় ওবলাক-এরমোসোদের ওপর। প্রতিপক্ষকে ভীষণ চাপে রেখে একটির পর একটি শট নেন রেয়ালের খেলোয়াড়রা। কিন্তু কোনোটিই খুঁজে পায়নি ঠিকানা। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

অতিরিক্ত সময়ের প্রথম ২৫ মিনিটে কোনো গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। যখনই মনে হচ্ছিল খেলা গড়াবে টাইব্রেকারে, তখনই ভাগ্যের জোরে এগিয়ে যায় রিয়াল। কারভাহালের ক্রসে হোসেলু ঠিক মতো মাথা ছোঁয়াতে পারেননি। কিন্তু তার পাশেই থাকা অ্যাটলেটিকোর খেলোয়াড় সাভিচের পায়ে লেগে বল জড়ায় জালে।

শেষের দিকে অ্যাতলেটিকো গোল শোধের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। তবে উল্টো গোল খেয়ে যায় তারা। প্রতি-আক্রমণে ছুটে গিয়ে ব্যবধান বাড়ান ব্রাহিম দিয়াজ।

বিষয়ঃ ফিফা

Share This Article