শিশু সাব্বির হত্যার রহস্য উদঘাটন, ঘাতক গ্রেফতার

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:২১, বুধবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৪, ২৬ পৌষ ১৪৩০

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্র সাব্বির (১১) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। বলাৎকারের প্রতিবাদ করায় নিজের চাচা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত চাচা ইমরান আকন্দকে (৩০) গ্রেফতার করেছে।

 

বুধবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থানা চত্বরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

গ্রেফতার ইমরান সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাপুর গ্রামের আলেক আকন্দ ওরফে গটুর ছেলে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ১৭ ডিসেম্বর বিকালে সাব্বির বাড়ি থেকে বাইরে যায়। পরের দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের আলাই নদীর পাড়ে নির্জন ঝোপের ভেতর সাব্বিরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিকে শনাক্ত করা হয়। পরে ৯ জানুয়ারি রাত সোয়া ৮টার দিকে ঘটনার সাথে জড়িত মূল আসামি ইমরান আকন্দকে সাঘাটা উপজেলার পশ্চিম রাঘবপুর গ্রামে আসামির শ্বশুর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান সাব্বিরকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে। সাব্বির তার সম্পর্কে ভাতিজা হয়। সাব্বিরকে চাচা ইমরান প্রায় ৩ বছর যাবৎ বলাৎকার করে আসছিল। বলাৎকারের বিষয়ে সাব্বির অন্যদের বলে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখায়। সে কারণে চাচা ইমরান তাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে।

পরে গত ১৭ ডিসেম্বর রাত অনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে সাব্বিরকে তার বসতবাড়ির উত্তর পশ্চিম পাশে কলার ক্ষেতে ডেকে নিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে ইমরান। ঘটনাটি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার জন্য সেদিন রাতেই সাব্বিরেব লাশ বস্তার ভেতরে ঢুকিয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের আলাই নদীর পশ্চিম পাড়ে নির্জন ঝোপের ভেতরে ফেলে আসে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে সহকারী পুলিশ সুপার সি-সার্কেল উদয় কুমার সাহা, অফিসার ইনচার্জ গোবিন্দগঞ্জ থানা মো. শামসুল আলম শাহ উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article