ফজল আনসারীর প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন মার্কিন কর্মকর্তা!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:৩২, শনিবার, ২৭ মে, ২০২৩, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে ছোট করতে বরাবরের মতোই মরিয়া যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কথিত সাংবাদিক খালেদা জিয়ার সবেক প্রেস সেক্রেটারি মুসফিকুল ফজল আনসারী। স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফ্রিংয়ে উদ্ভট প্রশ্ন করে ইতিমধ্যে 'সমালোচিত মুখ' হয়ে উঠেছেন তিনি। ২৪ মে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ঘোষণার পর অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিব্রত করতে চেয়েছিলেন সরকারকে। কিন্তু এবারও তাকে যথাযথ মূল্যায়ন করেননি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

 

সংবাদ সম্মেলনে দেখা যায়, নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুক্ষণ পরে সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত হন ফজল আনসারী। এরপরেই মুখপাত্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দেরিতে আসার জন্য ক্ষমা চান। এরপর বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতির কথা স্মরণ করিয়ে  তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজন করতে যুক্তরাষ্ট্র কোনো আহবান জানাবে কীনা তা জানতে চান।

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন  করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।আর তার এই প্রতিশ্রুতির সমর্থনেই  ভিসানীতির ঘোষণা দেয়া হয়েছে,যা নির্বাচনের প্রক্রিয়াগুলোকে বাস্তবায়ন করারই অংশ। বাংলাদেশে যেন এমন নির্বাচন হয় যাতে জনগণ তাদের পছন্দমতো নেতৃত্বকে বেছে নিতে পারে, সেজন্য এই নীতি।”

মার্কিন মুখপাত্রের এমন জবাবে খুশি হতে পারেননি কথিত সাংবাদিক মুশফিক ফজল আনসারী।কেননা তিনি তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে যে প্রশ্ন করেছিলেন তাকে পুরোপুরি এড়িয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়েই কথা বলেছেন।এমন উত্তরের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। তিনি চেয়েছিলেন ভিসানীতির সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতেও কথা বলবেন মিলার। কিন্তু তিনি তা বলেননি। তাই কাঙ্খিত জবাব না পাওয়ায় তিনি বিব্রত হন এবং এক ধরনের হতাশাও  দেখা গিয়েছে তার মাঝে।

উল্লেখ্য, ব্রিফ্রিংয়ের শুরুতে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন করতে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির আরোপ করার ঘোষণা ও সেই সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত জানান মুখপাত্র মিলার।

সমালোচকরা বলছেন, ফজল আনসারী মূলতঃ যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। এরই অংশ হিসেবে জাতিসংঘ, স্টেট ডিপার্টমেন্ট, হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী নানা মন্তব্য করেন। তার এসব প্রশ্ন শুনলেই প্রতীয়মান হয়, তিনি একজন পেইড এজেন্ট। তবে আগে কিছুটা পাত্তা পেলেও বাংলােদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সুদৃষ্টি থাকায় এখন আর তার কথায় তেমন গ্রাহ্য করেন না মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেস উইংয়ে একরকম কোণঠাসা ও একঘরেই হয়ে পড়ছেন তিনি।

Share This Article


জেলে থাকা নেতাকর্মীর সংখ্যা নিয়ে কাদেরের চ্যালেঞ্জে বেকায়দায় বিএনপি!

বিএনপিতে ফের ভারত বিরোধিতা উসকে দিতে তৎপর রিজভী: ক্ষুব্ধ সিনিয়র নেতারা!

যে তিন কারণে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে চায় বিএনপির তৃণমূল

উপজেলা নির্বাচন: ফের গণবহিস্কার বিএনপিতে!

উপজেলা নির্বাচন: বিএনপিকে ধোঁকা দিল জামায়াত!

উপজেলা নির্বাচন বর্জন : লাভের চাইতে ক্ষতি বেশি বিএনপির!

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সংকটে বিএনপি: প্রকাশ্য বিদ্রোহ!

ফের কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ: ব্রিটিশ ও মার্কিন কূটনীতিকদের তৎপরতা শুরু!

বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম কি কমেছে?

দেশের মানুষের ‘নিরাপত্তা’ নিয়ে ইউনুসের দুশ্চিন্তা: সোশ্যাল মিডিয়ায় হাস্যরস!

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন ১৭ এপ্রিল

আন্দোলন নিয়ে শরিকদের কোনো দিক নির্দেশনা দিতে পারছে না বিএনপি!