গিগ অর্থনীতিতে বড় শক্তি হয়ে উঠছে বাংলাদেশ

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ০৯:৫০, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৯

স্মার্টফোন আর ইন্টারনেটের সহজলভ্যতায় ডিজিটাল অর্থনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গিগ অর্থনীতিতে হয়ে উঠছে বিশ্বের অন্যতম শক্তি। ছয় লাখ ৫০ হাজার ফ্রিল্যান্সার নিয়ে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অনলাইন শ্রম সরবরাহকারী দেশ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বোস্টন কনসালটিং গ্রুপের (বিসিজি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

 

এতে বলা হয়, বিশ্বের ফ্রিল্যান্সারদের ১৫ শতাংশই বাংলাদেশের। ভারতের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। ভারতে রয়েছে ফ্রিল্যান্সারদের ২৪.৮ শতাংশ। অনলাইন কাজের ব্যাপক চাহিদা থাকায় ফ্রিল্যান্সার দিন দিন বাড়ছে। ফিভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার, গুরু, টপটেল ইত্যাদি অনলাইন প্ল্যাটফরমে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররাও সক্রিয় রয়েছেন।

এ ছাড়া ডিজিটাল প্ল্যাটফরম উবার, পাঠাও, ট্রাক লাগবে এবং ফুডপান্ডায় এ বছরই পাঁচ লাখ কাজের সুযোগ তৈরি হবে। দেশে সামাজিক বাণিজ্যের যে বিশাল সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে তাতে ডিজিটাল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরো জোরালো হবে। বাংলাদেশে ফেসবুকভিত্তিক উদ্যোক্তা রয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি।

ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফরম পেয়োনিয়ারের ২০২২ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়, বার্ষিক আয় বৃদ্ধিতে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ফ্রিল্যান্সার দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২১ সালে এ দেশটির ফ্রিল্যান্সারদের আয় বেড়েছে ৭৮ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা যুক্তরাজ্যের ফ্রিল্যান্সারদের আয় বেড়েছে ৫৯ শতাংশ, তৃতীয় অবস্থানে ব্রাজিলের ফ্রিল্যান্সারদের আয় বেড়েছে ৪৮ শতাংশ। চতুর্থ পাকিস্তানের ফ্রিল্যান্সারদের আয় বেড়েছে ৪৭ শতাংশ, পঞ্চম স্থানে ইউক্রেনীয় ফ্রিল্যান্সারদের আয় বেড়েছে ৩৬ শতাংশ, ষষ্ঠ স্থানে ফিলিপাইনের ফ্রিল্যান্সারদের আয় বেড়েছে ৩৫ শতাংশ, সপ্তম স্থানে ভারতের ফ্রিল্যান্সারদের আয় বেড়েছে ২৯ শতাংশ, অস্টম স্থানে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের আয় বেড়েছে ২৭ শতাংশ, নবম স্থানে রাশিয়ার ফ্রিল্যান্সারদের আয় বেড়েছে ২০ শতাংশ এবং দশম স্থানে থাকা সার্বীয়দের আয় বেড়েছে ১৯ শতাংশ। পেয়োনিয়ারের নেটওয়ার্কে থাকা তিন লাখ ফ্রিল্যান্সারের ওপর জরিপ করে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

গিগ অর্থনীতি কী? এর সংজ্ঞায় বলা হচ্ছে, ‘গিগ অর্থনীতি’ এমন একটা পরিবেশ, যেখানে অস্থায়ী চাকরির ছড়াছড়ি থাকবে আর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্বল্পমেয়াদি চুক্তিতে স্বতন্ত্র কর্মীদের (ইন্ডিপেনডেন্ট ওয়ার্কার্স) নিয়োগ দেবে। তারা ফুল টাইম কর্মীদের চেয়ে ফ্রিল্যান্সারদের গুরুত্ব বেশি দেবে এবং বেশির ভাগ কাজ এই ফ্রিল্যান্সারদের দিয়েই করাবে। এই ধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার ক্ষমতাকে বা এই রকম ফ্রিল্যান্স দক্ষতাগুলোকে বলা হচ্ছে, ‘গিগ ক্যাপাসিটি’। যে দেশ বা শহর যত বেশি প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত ও গতিশীল, সেই দেশে বা শহরে এই ‘গিগ ক্যাপাসিটিসম্পন্ন’ লোকবলের দরকার বেশি হবে।

ফ্রিল্যান্সার ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও ভারতে গিগ অর্থনীতি দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। গিগ অর্থনীতির দিক থেকে ভারত বিশ্ব ও এশিয়া অঞ্চলে নেতৃত্ব দেবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশও সম্ভাবনাময়। বাংলাদেশের গিগ ইকোনমি এগিয়ে নিতে ফ্রিল্যান্সার ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা বড় ভূমিকা রাখছেন।

বৈশ্বিক ফ্রিল্যান্সার আয় প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বজুড়ে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারদের প্রতি ঘণ্টায় গড় আয় ২৮ ডলার। দুই বছর আগে এই আয় ছিল ২১ ডলার। কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি প্রগ্রামিং, মার্কেটিং ও ফিন্যান্সে। বিশ্বজুড়ে এই খাতে নারীদের অংশগ্রহণ ২০২০ সালের ২৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২২ সালে হয়েছে ২৯ শতাংশ। এর মধ্যে নারী ফ্রিল্যান্সারদের ঘণ্টায় গড় আয় ২৩ ডলার আর পুরুষদের ২৮ ডলার। 

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article


সরকার বিরোধী এজেন্ডা বাস্তবায়ন: সহিংসতার জেরে ২০০ পোশাক কারখানা বন্ধ!

১৩ দিনে এলো ৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

রফতানি আয়ে সুবাতাস: সেপ্টেম্বরে এলো ৪.৩১ বিলিয়ন ডলার

২০৩৪ সাল পর্যন্ত কানাডায় রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ

আগামীকাল থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রশংসা করছে এডিবি

জুলাই থেকে শুরু ভারতের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্য

কমেছে পেঁয়াজের দাম

বাংলাদেশকে কেন ঋণ দেয়া হয়েছে, জানালেন আইএমএফ' প্রধান

১২৫ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন : উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশের সাথে থাকবে বিশ্বব্যাংক!

ঈদে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩ হাজার ৬০০ কো‌টি

‘এমভি সোল’ জাহাজে নতুন ইতিহাস গড়ল পায়রা বন্দর