বাংলাদেশকে কেন ঋণ দেয়া হয়েছে, জানালেন আইএমএফ' প্রধান

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:১৫, মঙ্গলবার, ২ মে, ২০২৩, ১৯ বৈশাখ ১৪৩০

ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা আরও বলেন, ঋণ পাওয়ার যোগ্যতায় বাংলাদেশ এশিয়ার অনেক দেশে থেকেই এগিয়ে আছে। দেশটির ঋণ পরিশোধের ইতিহাস ভালো। এর আগেও বাংলাদেশ যত ঋণ নিয়েছে তা সঠিক সময়েই পরিশোধ করেছে। তাছাড়া, ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের পক্ষ থেকে যেসব শর্ত দেয়া হয় তার সবই পূরণের যোগ্যতা আগে থেকেই রয়েছে বাংলাদেশের।

চলতি বছর জানুয়ারী মাসে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণের অনুমোদন দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ। মোট ৪২ মাস ধরে সাত কিস্তিতে এই ঋণ পাবে বাংলাদেশ। ঋণের গড় সুদ হবে ২ দশমিক ২ শতাংশ। একই সময়ে আইএমএফ এর কাছে ঋণ চেয়ে পায়নি শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। অন্যদিকে বাংলাদেশ মাত্র দুই সপ্তাহের আলোচনায় এই ঋণ পেয়েছে, যেখানে বহু দেশ বছরের পর পর আলোচনা করেও এই ঋণ পায় না।

ঋণ পাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের ভূয়সী প্রসংশা করেছেন (আইএমএফ)- এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ভালো কানেকটিভিটি এবং আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। আর এর পেছনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের ক্ষমতা আমাদের মুগ্ধ করেছে।

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মহামারিকালেও সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা বজায় ছিলো। যা অন্যান্য দেশের তুলনায় যথেষ্ট ইতিবাচক। কোভিডের পরেও স্থিতিশীল অর্থনীতি বজায় রেখে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল হয়ে উঠেছে। আগামীতে আরো সমৃদ্ধির জন্য এই ধরনের ভিশন এবং শেখ হাসিনার মতো লিডারশিপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা আরও বলেন, ঋণ পাওয়ার যোগ্যতায় বাংলাদেশ এশিয়ার অনেক দেশে থেকেই এগিয়ে আছে। দেশটির ঋণ পরিশোধের ইতিহাস ভালো। এর আগেও বাংলাদেশ যত ঋণ নিয়েছে তা সঠিক সময়েই পরিশোধ করেছে। তাছাড়া, ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের পক্ষ থেকে যেসব শর্ত দেয়া হয় তার সবই পূরণের যোগ্যতা আগে থেকেই রয়েছে বাংলাদেশের।

অর্থনীতিবদরা বলছেন, আইএমএফ মূলত ঋণ দেয়ার সময়ই কিছু শর্ত জুড়ে দেয়। এই শর্তগুলো তারা দেয় এটি নিশ্চিত করতে যেন ঋণের অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার হয়। আর সঠিকভাবে ব্যবহার হলেই ঋণ পরিশোধ নিশ্চিত হয়। যেসব দেশের অর্থণৈতিক কাঠামো দুর্বল তারা অনেক ক্ষেত্রেই এই শর্তগুলো পূরণ করতে পারে না। নানারকম বিচ্যুতি সৃষ্টি হয়। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে এই সংস্থাটির লেনদেনের ইতিহাস খুব ভালো। মূলত এসব দিক বিবেচনায় নিয়েই দ্রুততম সময়ে ঋণ দেয়া হয়েছে বাংলাদেশকে।

Share This Article


সরকার বিরোধী এজেন্ডা বাস্তবায়ন: সহিংসতার জেরে ২০০ পোশাক কারখানা বন্ধ!

১৩ দিনে এলো ৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

রফতানি আয়ে সুবাতাস: সেপ্টেম্বরে এলো ৪.৩১ বিলিয়ন ডলার

২০৩৪ সাল পর্যন্ত কানাডায় রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ

আগামীকাল থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রশংসা করছে এডিবি

জুলাই থেকে শুরু ভারতের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্য

কমেছে পেঁয়াজের দাম

১২৫ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন : উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশের সাথে থাকবে বিশ্বব্যাংক!

ঈদে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩ হাজার ৬০০ কো‌টি

‘এমভি সোল’ জাহাজে নতুন ইতিহাস গড়ল পায়রা বন্দর