সরকার বিরোধী এজেন্ডা বাস্তবায়ন: সহিংসতার জেরে ২০০ পোশাক কারখানা বন্ধ!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:২৯, রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৩, ২৭ কার্তিক ১৪৩০

মুজুরি বৃদ্ধির পরেও একটি পক্ষ কেনো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এসময় আন্দোলনের পোশাক কারখানায় ব্যাপক সহিংসতা ও ভাংচুর লুটপাট চালায়। বিক্ষোভ ও কারখানা ভাঙচুরের ঘটনায় প্রায় দুইশতাধিক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় বৈদেশিক আয়ের খাত পোশাক শিল্প। তাই এই খাতকে অস্থিতিশীল করতে পারলে সহজে সরকারকে বেকায়দায় ফেলা যাবে। মুজুরি বৃদ্ধির নামে এই খাতকে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি সরকার বিরোধী এজেন্ডা বাস্তবায়নের অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।

সম্প্রতি মুজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন  করে পোশাক খাতের শ্রমিকরা। দাবিটি বিবেচনায় নিয়ে ৮ হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা নূন্যতম বেতন ঘোষণা করে সরকার। মুজুরি বৃদ্ধিতে সন্তুষ্ট হয়ে কাজে ফিরে শ্রমিকদের বড় একটি অংশ। কিন্তু  ৯ নভেম্বর ন্যূনতম মুজুরি ২৩ হাজার টাকার দাবিতে  আন্দোলন চালিয়ে যায় শ্রমিকদের একাংশ। সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর ও ধামরাইয়ে পোশাক কারখানায় ব্যাপক সহিংসতা ও ভাংচুর লুটপাট চালায় তারা।

তাই পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও কারখানা ভাঙচুরের ঘটনায় প্রায় দুইশতাধিক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তবে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারকে কোনভাবে চাপে ফেলতে না পারায়, সরকার বিরোধীরা পোশাক খাতকে অস্থিতিশীল করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

জানা যায়,আশুলিয়ার বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর মহাসড়কের ইউনিক, শিমুলতলা, জামগড়া, ছয়তলা, নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর ও জিরাবো-বিশমাইল সড়কের কাঠগড়া আমতলা, বড় রাঙ্গামাটিয়ার অধিকাংশ কারখানার গেটে টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়েছে বন্ধের নোটিশ।

দ্য রোজ ড্রেসেস লিমিটেড, দ্যাটস ইট স্পোর্টস ওয়্যার লিমিটেড, অনন্ত গার্মেন্টস লিমিটেড, হা-মীম, শারমীন, পাইওনিয়ার লিমিটেড, এআর জিন্স প্রডিউসার লিমিটেড, ডুকাটি অ্যাপারেলস লিমিটেড, আগামী অ্যাপারেল লিমিটেড, ক্রোসওয়্যার লিমিটেড, সেইন অ্যাপারেলস লিমিটেড, টেক্সটাউন লিমিটেড, অরনেট নিট গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডসহ প্রায় দুই শতাধিক কারখানার গেটে এমন নোটিশ দেখা গেছে।

এসব নোটিশে বলা হয়েছে, গত ৯ নভেম্বর সকাল ১০টায় এবং বিগত কয়েকদিন ধরে বেলা ১১টা ও বিকেল ৩টায় মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বহিরাগত শ্রমিকরা বে-আইনিভাবে কারখানার ভেতর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ভাংচুর ও কাজ বন্ধ রাখাসহ কর্মস্থলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয় উৎপাদন। এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে ১০ নভেম্বর থেকে শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করলো।

সমালোচকরা বলছেন, মুজুরি বৃদ্ধির পরেও একটি পক্ষ কেনো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বোধগম্য নয়। আন্দোলনের নামে মহলটি কারো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় বৈদেশিক আয়ের খাত পোশাক শিল্প। তাই এই খাতকে অস্থিতিশীল করতে পারলে সহজে সরকারকে বেকায়দায় ফেলা যাবে। মুজুরি বৃদ্ধির নামে এই খাতকে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি সরকার বিরোধী এজেন্ডা বাস্তবায়নের অংশ বলেও মত দেন তারা।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article