যেভাবে হুন্ডির হাতে টাকা তুলে দেয়া বন্ধ করতে পারে সরকার

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:০৩, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ২৮ ভাদ্র ১৪২৯

তারা যখন দেশে ফিরেন তখন যেন একজন ‘রেমিটেন্স যোদ্ধা’ মর্যাদা পান। অন্তত পক্ষে একটু ভাল আচরণ দিয়ে তাদের ঝামেলামুক্ত আগমন-প্রস্থানে সাহায্য করা হয় তাতেও মনে একটা শান্তনা পাবেন।  এতে দেশের প্রতিও শ্রদ্ধাবোধ বাড়বে এবং রেমিটেন্স হুন্ডির হাতে দেয়ার আগে হয়তো আরেকবার দেশের কথা ভাববেন।

বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ হলো প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স। সাম্প্রতিককালে ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানান কারণে এই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারও চাচ্ছে বিভিন্নভাবে এই রিজার্ভ বৃদ্ধি করতে।

দেশের রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ানোর জন্য সরকার বিভিন্ন ইতিবাচক প্রচারণা ও প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। যাতে প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠায়।
কিন্তু সরকার যতোই সুবিধা দিক, প্রনোদনা বৃদ্ধি করুক, হুন্ডি ব্যবসায়ীরা তারচেয়ে বেশি সুবিধা দিয়ে রেমিটেন্স হাতিয়ে নিচ্ছে। এখনও প্রচুর রেমিটেন্স হুন্ডির মাধ্যমে আসছে।

সম্প্রতি একজন ব্যাংকার যিনি রেমিটেন্স ডেক্সে দীর্ঘদিন কাজ করার কারণে রেমিটারদের কিছু মনের কথা জানতে পেরেছেন। তার কিছু পরামর্শ একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সেই প্রস্তাব বাস্তবায়ন করলে হুন্ডি প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন অনেকে।

যেমন- যারা সরকারী ব্যাংকে চাকরি করেন তাদের বেতন-ভাতা প্রাইভেট ব্যাংকারদের থেকে অনেক কম। তারপরেও সরকারী চাকরির জন্য তারা প্রাণান্ত চেষ্টা করে থাকেন। কারণ ভবিষ্যত সিকিউরিটি। পেনশন, প্রভিডেন্ট ফান্ড, সামাজিক মর্যাদা এই সবের জন্য মানুষ সরকারী চাকরিকে বেশি গুরুত্ব দেয়।

ঠিক তেমনি সরকার যদি রেমিটারদের প্রেরিত অর্থের ওপর ভিত্তি করে পেনশন ভাতা/বিশেষ ভাতা চালু করে অথবা সরকার যদি একটা কাঠামো দিয়ে বলে যে, একজন রেমিটার যত বেশি রেমিটেন্স বৈধ পথে দেশে পাঠাবে তার ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে সে দেশে চলে এলে তত বেশি পেনশন ভাতা পাবে। তাহলে একজন রেমিটার ভবিষ্যত সিকিউরিটির কথা চিন্তা করে হুন্ডি দিয়ে লেনদেন করবে না।

এ ক্ষেত্রে কত বছর পর্যন্ত সেই রেমিটেন্স আসতে হবে, পরিমাণ কী হবে এসবের শর্ত ঠিক করা যেতে পারে।

প্রবাসীদের মনোকষ্টের আরেকটি কারণ হলো বিমানবন্দরে হয়রানি। যারা একটি দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে দিনরাত পরিশ্রম করেন অথচ সেই দেশেই ঢুকতে হলে তাদের নানানভাবে হয়রানি করা হয়। এটি থেকে তাদের মুক্তি দিতে হবে।

তারা যখন দেশে ফিরেন তখন যেন একজন ‘রেমিটেন্স যোদ্ধা’ মর্যাদা পান। অন্তত পক্ষে একটু ভাল আচরণ দিয়ে তাদের ঝামেলামুক্ত আগমন-প্রস্থানে সাহায্য করা হয় তাতেও মনে একটা শান্তনা পাবেন।  এতে দেশের প্রতিও শ্রদ্ধাবোধ বাড়বে এবং রেমিটেন্স হুন্ডির হাতে দেয়ার আগে হয়তো আরেকবার দেশের কথা ভাববেন।

Share This Article


সরকার বিরোধী এজেন্ডা বাস্তবায়ন: সহিংসতার জেরে ২০০ পোশাক কারখানা বন্ধ!

১৩ দিনে এলো ৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

রফতানি আয়ে সুবাতাস: সেপ্টেম্বরে এলো ৪.৩১ বিলিয়ন ডলার

২০৩৪ সাল পর্যন্ত কানাডায় রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ

আগামীকাল থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রশংসা করছে এডিবি

জুলাই থেকে শুরু ভারতের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্য

কমেছে পেঁয়াজের দাম

বাংলাদেশকে কেন ঋণ দেয়া হয়েছে, জানালেন আইএমএফ' প্রধান

১২৫ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন : উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশের সাথে থাকবে বিশ্বব্যাংক!

ঈদে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩ হাজার ৬০০ কো‌টি

‘এমভি সোল’ জাহাজে নতুন ইতিহাস গড়ল পায়রা বন্দর