হলিউডের এই তারকাদের যত ভীতি
কেউ এক হাতে গাড়ি উল্টে দেন, কেউ আবার মানুষ উড়িয়ে দেন এক ঘুষিতে, ঘোড়ার পিঠে চেপে কাউকে আবার নানা কেরামতি করতেও দেখা যায়। প্রায়ই রুপালি পর্দায় নানা অদ্ভুত কাণ্ডকারখানা করে থাকেন তারকারা।
কিন্তু বাস্তব জীবনে তাদেরও নানা জিনিসে ভীতি আছে! হলিউডের কয়েক তারকার সেসব ভয়ের খবর তুলে ধরা হলো এ আয়োজনে...
স্কারলেট জোহানসন
advertisement
ক্যারিয়ারের শুরুতে অসংখ্যবার প্রত্যাখ্যানের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। পরিচালকরা প্রথম দিকে স্কারলেটকে পাত্তাই দিতেন না। সেই তিনিই দুবার অস্কার মনোনয়ন পেয়েছেন। ২০১৮ সালে হয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অর্থ উপার্জনকারী অভিনেত্রী। এই মুহূর্তেও তিনি হলিউডের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক গোনা তারকাদের একজন। স্কারলেটের ভয় পাখিতে! অনেকের দিনের শুরু যেখানে হয় পাখির কোলাহলে, সেখানে পাখির ডাক এ অভিনেত্রীর অস্বস্তির কারণ। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এর নাম অর্নিথোফোবিয়া। পাখি ছাড়াও তেলাপোকায় ভয় আছে স্কারলেটের। এ প্রাণীটি দেখলেই ১০ হাত দূরে লাফ দেন অভিনেত্রী। ছোটবেলা থেকেই তার এই ‘তেলাপোকাভীতি’।
ব্র্যাড পিট
হলিউডের সবচেয়ে ধনী তারকাদের তালিকায় তার নাম ওপরের দিকেই থাকে; কিন্তু শুধু হলিউডের গণ্ডিতে নয়, সারা দুনিয়ায়ই সবার চেয়ে নিজেকে ধনী ভাবেন পিট। তাই বলে তাকে অহঙ্কারী ভেবে বসবেন না। নিজের ধনসম্পত্তি নিয়ে তিনি গর্ব করেন ঠিকই; কিন্তু তা বৈষয়িক সম্পদ নয়। নিজের সন্তানদের জীবনের সেরা সম্পদ ভাবেন এই অভিনেতা। সুদর্শন অভিনেতা পিট সুঠাম দেহের অধিকারী। পর্দায় তাকে দেখলে মনে হয়, একাই ১০-১২ গু-াকে ধরাশায়ী করে দিতে পারেন। অথচ তারই রয়েছে হাঙরভীতি! এ নিয়ে অবশ্য অনেকের ভাষ্য- এত বড় শিকারিকে ভয় না পেয়ে উপায় আছে?
নিকোল কিডম্যান
অনবদ্য অভিনয়ে বড়পর্দা কাঁপিয়েছেন সদর্পে। প্রশংসা কুড়িয়েছেন ছোটপর্দায় কাজ করেও। কিডম্যান ২০০২ সালে ‘দ্য আওয়ার্স’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে অস্কার ও গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জয় করেন। রোমান্টিক সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি অনেক অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় অভিনয় করে নজর কেড়েছেন তিনি। সেই কিডম্যানই কিনা প্রজাপতি ভয় পান! দুনিয়ার অনেকেই যেখানে প্রজাপতি পছন্দ করেন, সেখানে এ হলিউডি পুরো উল্টো। তিনি লেপিডোপ্টেরোফোবিয়ায় আক্রান্ত, এর মানে প্রজাপতি বা মথের ভয়। প্রজাপতি দেখলেই তার অস্থির লাগে। কিডম্যানের শুটিং সেটে যাতে কোনো প্রজাপতি না থাকে, সেজন্য একজন গার্ডও নিয়োগ দেওয়া থাকে।