ইউনূসের পক্ষে কথা বলা দল বিএনপির প্রয়াত অর্থমন্ত্রীই ইউনূসের গোমর ফাঁস করেছিলেন!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:৪৯, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
  • গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ গ্রহণকারী অনেকে একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে
  • তারা তাদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ হয়ে গেছে
  • সরকারি সুবিধা গ্রহণ করেও তা গোপন রাখেন ইউনূস

চলতি বছরের শুরু থেকে আলোচনায় নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আদালতের সাজাপ্রাপ্তির পর থেকে দেশ-বিদেশে তার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন তার অনুসারিরা। বিএনপিও ড. ইউনূসের পক্ষে কথা বলছে। তবে দলটির প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুরর রহমানই ইউনূসের গোমর ফাঁস করেছিলেন।

গ্রামীণ ব্যাংক ও ড. ইউনূসের কৌশলী অবস্থান বেশ স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন বিএনপি শাসনামলে তিন দফার অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান। তিনি ঋণগ্রহীতাদের সঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংকের আচরণ, বিদেশিদের কাছে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে ড. ইউনূসের নানা কৌশলী অবস্থান ও জিয়াউর রহমানসহ পরবর্তী কয়েকটি সরকারের সময়ও ইউনূস সুবিধা গ্রহণ করেও তা গোপন রাখেন বলে অভিযোগ করেছিলেন। সাইফুর রহমানের আত্মজীবনীতেও স্পষ্টভাবে এসবের উল্লেখ পাওয়া যায়।

'কিছু কথা কিছু স্মৃতি' বইয়ে তিনি লিখেছেন, "গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ গ্রহণকারীদের ওপর যদি গবেষণা করা হয়, তাহলে দেখা যাবে, গ্রামের অনেক ঋণ গ্রহণকারী একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে। তারা তাদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ হয়ে গেছে। এ ধরনের অনেক ঘটনার কথা মাঝে মাঝে পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এবং এ বিষয়ে পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটিতেও প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে।

ড. ইউনূসের মাইক্রো ক্রেডিটের ফলে বাংলাদেশের দলিলে আর্থিক অবস্থার বিরাট পরিবর্তন হয়ে গেছে, এ কথাটা সর্বাংশে সত্য নয় উল্লেখ করে তিনি তার বইতে লিখেছেন, পরিবর্তন অনেকের কাছেই দৃশ্যমান নয়। এ ধরনের কোনো গবেষণাও নেই। তাগিদ দিলেও তারা সেটি করে না। দুই হাজার বা পাঁচ হাজার টাকা ধার নিয়ে এবং শতকরা ২৮ ভাগ পর্যন্ত বা তারও বেশি সুদ দিয়ে কোনো লোকের পক্ষে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব নয়। একটা নির্দিষ্ট সময় বা স্তর পর্যন্ত সমাজে মাইক্রোক্রেডিট একটা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে। সামান্য টাকা ধার নিয়ে কেউ ধানকে চাউল করে বিক্রি করে বা অন্যভাবে কিছু বাড়তি আয় করে। এ কাজের মধ্য দিয়ে সামগ্রিকভাবে দারিদ্র বিমোচন সম্ভব নয়। এ ধরনের কর্মসূচি সরকার বহু আগেই নিয়েছিল।"

গ্রামীণ ব্যাংক এর শুরুর ইতিহাস টেনে তিনি লিখেছেন, "সরকার গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে তিন বছর চালিয়েছিল। এই গ্রামীণ ব্যাংক ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের একটা প্রজেক্ট এবং ড. ইউনূস ছিলেন ওই প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক মাত্র। পরে তিনি চেয়ারম্যান হন ১৯৮৩ সালে। পূর্বে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন পদাধিকার বলে অর্থসচিব। এছাড়া বোর্ড অব ডাইরেক্টরস ছিল। কাজেই গ্রামীন ব্যাংক তার সৃষ্টি এটিও সত্য নয়"।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article


কি ঘটেছিলো ফরিদপুরে:সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতা চাইছে কারা?

জেলে থাকা নেতাকর্মীর সংখ্যা নিয়ে কাদেরের চ্যালেঞ্জে বেকায়দায় বিএনপি!

বিএনপিতে ফের ভারত বিরোধিতা উসকে দিতে তৎপর রিজভী: ক্ষুব্ধ সিনিয়র নেতারা!

যে তিন কারণে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে চায় বিএনপির তৃণমূল

উপজেলা নির্বাচন: ফের গণবহিস্কার বিএনপিতে!

উপজেলা নির্বাচন: বিএনপিকে ধোঁকা দিল জামায়াত!

উপজেলা নির্বাচন বর্জন : লাভের চাইতে ক্ষতি বেশি বিএনপির!

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সংকটে বিএনপি: প্রকাশ্য বিদ্রোহ!

ফের কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ: ব্রিটিশ ও মার্কিন কূটনীতিকদের তৎপরতা শুরু!

বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম কি কমেছে?

দেশের মানুষের ‘নিরাপত্তা’ নিয়ে ইউনুসের দুশ্চিন্তা: সোশ্যাল মিডিয়ায় হাস্যরস!

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন ১৭ এপ্রিল