ডেইলি স্টারের মিথ্যাচার
এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে বলেনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়!
- ইসলামী ব্যাংকের যা ঋণ রয়েছে সবই আইনসম্মত 'নিয়মিত ঋন'। এই ঋণ প্রদানে ইসলামী ব্যাংক শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে করে থাকে।
- এস আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে কোনও নির্দেশ দেয়নি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
- ভূমি মন্ত্রণালয়ের কোনও কর্মকর্তা এস আলমের ভূমির বিষয়ে তদন্ত করার নির্দেশ পাননি।
'এস আলম গ্রুপের সম্পদের তদন্ত: অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর’ এমন শিরোনামে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল দেশের প্রথম শ্রেনীর ইরেজী জাতীয় দৈনিক ‘ডেইলি স্টার’।
তবে মঙ্গলবার ৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস জানিয়েছেন, এস আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে কোনও নির্দেশ দেয়নি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এমনকি ডেইলি স্টারের সঙ্গে এ বিষয়ে তার কোনও কথাও হয়নি।
ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছিল 'প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে এস আলম গ্রুপের যেসব সম্পদের বিপরীতে ঋণ নেওয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন।'
তবে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তাকে এ ধরনের কোনও নির্দেশ দেয়া হয়নি। শুধু এস আলম নয়, অন্য কোনও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কেও তাকে খোজ খবর নিতে আদেশ দেয়া হয়নি।
ডেইলি স্টারের ওই প্রতিবেদনটিতে চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
এক্ষেত্রেও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক নিশ্চিত করেছেন যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কোনও কর্মকর্তা এস আলমের ভূমির বিষয়ে তদন্ত করার নির্দেশ পাননি।
অন্যদিকে শরিয়াহভিত্তিক ঋণদাতার অভ্যন্তরীণ নথি দেখিয়ে এই শিল্প গোষ্ঠীটি সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংক থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছে বলে সম্প্রতি সংবাদ প্রকাশ করে ডেইলি স্টার পরিবারের সিস্টার কনসার্ন পত্রিকা প্রথম আলো।
তবে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনিরুল মওলা জানিয়েছেন, ইসলামী ব্যাংকের যা ঋণ রয়েছে সবই আইনসম্মত 'নিয়মিত ঋন'। এই ঋণ প্রদানে ইসলামী ব্যাংক শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে করে থাকে।
পত্রিকাটি কল্পনাপ্রসূত এই প্রতিবেদন করেছেন বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
গণমাধ্যম সংস্লিষ্টরা বলছেন, প্রথম আলো বা ডেইলি স্টারের মতো প্রথম শ্রেনীর পত্রিকার কাছ থেকে মানুষ গঠনমূল সংবাদ প্রত্যাশা করে । কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন তৈরী, দায়িত্বহীন সংবাদিকতা।আসন্ন নির্বাচন ও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে কোনও অসৎ উদ্দেশ্যে এমন সংবাদ ছাপানো হয়েছে। এর আগেও দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়নের সময় ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করে পাঠকদের বিশাল অংশকে বিভ্রান্ত করেছিলো এই পত্রিকা দুটো।
