বাংলাদেশে তিন দিনে আশ্রয় নিলো মিয়ানমারের আরো ২৮ নিরাপত্তারক্ষী
দুদিনে টেকনাফ ও বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে মোট ১৬ জন পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে বিজিপি ও সেনাবাহিনীর আরো ১২ সদস্য। এ নিয়ে তিন দিনে আশ্রয় নিয়েছে ২৮ জন।
সোমবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে সবশেষ দুই সেনা সদস্য পালিয়ে আসে। তাদের নিরস্ত্র করে হেফাজতে নিয়েছে বিজিবি। এর আগে রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের খারাংখালি সীমান্ত দিয়ে পাঁচ বিজিপি সদস্য পালিয়ে আসে বলে জানিয়েছিলেন টেকনাফে২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ।
কক্সবাজার বিজিবির এক কর্মকর্তা গতকাল জানিয়েছেন, দুদিনে টেকনাফ ও বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে মোট ১৬ জন পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন বিভিন্ন সময়ে আশ্রয় নেয়া ১৮০ জন। সব মিলিয়ে এখন বাংলাদেশে রয়েছেন ১৯৬ জন। যার মধ্যে পাঁচজন সেনা সদস্য এবং ১৯১ জন বিজিপি সদস্য। এদের মিয়ানমারের ফেরত পাঠানোর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আলোচনা চলছে জানিয়ে ঐ কর্মকর্তা বলেন, আগামী সপ্তাহে আশ্রয় নেয়াদের ফেরত পাঠানো হতে পারে।
তবে, নতুন করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বিজিপির আরো ১২ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ায় এ সংখ্যা বাড়লো।
এর আগে কয়েক মাসে দফায় দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন ৩৩০ জন। তাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জলপথে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।