সামরিক শাসকের অধীনে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া ইউনূসের মুখে গণতন্ত্র!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:১৪, শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৪, ২৩ চৈত্র ১৪৩১

মানুষের অধিকারকে জলাঞ্জলি দিয়ে সেনা-সমর্থিত সরকারের কাঁধে ভর দিয়ে ক্ষমতায় বসতে চেয়েছিলেন ইউনূস। আর সেই তিনিই এখন বিপদে পড়ে গণগন্ত্রের গান গাইতে শুরু করেছেন।

কিছুদিন ধরেই মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার ড. ইউনূস। মুখে আওড়াচ্ছেন গণতন্ত্রের বুলি। এমনকি জনসাধারণের প্রতিও দেখাচ্ছেন ‘বাড়তি দরদ’। অথচ তিনিই একসময় রাজনৈতিক দল বানিয়ে হতে চেয়েছেন ‘কিংস পার্টির’ নেতা। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীত্ব বাগিয়ে ‘রাজ কায়েম’ করতে চেয়েছিলেন গোটা দেশে। তাও আবার সামরিক শাসকের গোলাম হয়ে। তবে ভুল পথে তথা সেনাশক্তিতে ভর করায় অধরাই রয়ে যায় তার এসব স্বপ্ন।

সূত্র বলছে, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে ইউনূসের গ্রামীণফোনকে লাইসেন্স দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু মোবাইল ফোনের ইনকামিং চার্জ বাতিল করে তার অসৎ ব্যবসায় হাত দেয়ার কারণেই আওয়ামী লীগ সরকারে সঙ্গে দূরত্বের প্রাথমিক ধাপ শুরু হয়। আর এক-এগারোর সময় সেই ক্ষোভ মেটানোর চেষ্টা করেন তিনি।  

এক-এগারো পরবর্তী সেনা-সমর্থিত সরকারের শক্তি নিয়ে তার পথচলা শুরু হয়। কিন্তু তাতেও ব্যর্থ হওয়ার পর শেখ হাসিনাকে এড়িয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সখ্যতা বাড়ানোর জোর চেষ্টা চালিয়ে যান ইউনূস। করেন গোপন চুক্তিও। সেই সুবাদে তাকে কিংস পার্টির নেতা বানানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন বিএনপির এই চেয়ারপারসন। কিন্তু ১/১১’র পর বিএনপি ক্ষমতায় না আসায় ইউনূসকেই রাজনীতির আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে দাঁড়াতে হয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ড. ইউনূস ইদানীং যেভাবে গণতন্ত্র আর মানবাধিকারের কথা বলছেন তা আগে থেকে বললে কাজে আসতো। তার মুখে এখন এসব মানায় না। কেননা এই নোবেলজয়ীর নানামুখী ষড়যন্ত্রের কারণেই রাজনীতি থেকে মাইনাস হওয়ার কবলে পড়েছিলেন দুই নেত্রী; যা এ জাতি কখনোই ভুলতে পারবে না। এছাড়া তিনি মানুষের অধিকারকে জলাঞ্জলি দিয়ে সেনা-সমর্থিত সরকারের কাঁধে ভর দিয়ে ক্ষমতায় বসতে চেয়েছিলেন। আর সেই তিনিই এখন বিপদে পড়ে গণগন্ত্রের গান গাইতে শুরু করেছেন।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article