বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হলে বাড়বে গোপন তৎপরতা, মত শিক্ষাবিদদের

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:১৬, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৪, ২২ চৈত্র ১৪৩১

শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার পরিবেশ ঠিক রেখে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের পক্ষে লড়াই করার যে ছাত্র রাজনীতি সেটি চালু রাখতে হবে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ নিয়ে সরগরম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। পক্ষে-বিপক্ষে যার যার অবস্থান জানান দিচ্ছেন নেটিজেনরা। তবে সিট বাণিজ্য আর চাঁদাবাজি বন্ধ করে সুষ্ঠু ধারার ছাত্ররাজনীতি ফিরিয়ে আনার তাগিদ দিয়েছেন শিক্ষাবিদরা।

তারা বলছেন, ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কোনো সমাধান নয়। এতে গোপন রাজনৈতিক তৎপরতাই বাড়বে। অতীতের ইতিহাসও সেই সাক্ষ্যই দেয়। তাই শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের রাজনীতি দিয়েই ছাত্ররাজনীতির ইতিবাচক ধারা ফিরিয়ে আনতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘আজকের তরুণরা মতপ্রকাশ করতে চায়, প্রতিবাদ করতে চায়। সেক্ষেত্রে তাদের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকতে হবে, রাজনীতি করার অধিকার দিতে হবে। কেননা আজকের ছাত্ররাজনীতি আগামীর দেশের জাতীয় নেতা।’

শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘মাথাব্যথা হলে তা সারানোর ওষুধ আছে। মাথা কাটার ফর্মুলা কাউকে দেয়া উচিত না। বুয়েট ঐতিহাসিকভাবে সশস্ত্র যুদ্ধে ভূমিকা রেখেছে। সেই বুয়েটের ছাত্র-ছাত্রীরা রাজনীতি নিষিদ্ধ  চায়, এটা অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আআমস আরেফিন সিদ্দিক বলছেন, ‘শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার পরিবেশ ঠিক রেখে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের পক্ষে লড়াই করার যে ছাত্র রাজনীতি সেটি চালু রাখতে হবে। নয়তো শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের পথ বন্ধ হয়ে যাবে।’

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা নয়। বরং শিক্ষার্থীদের স্বার্থে ইতিবাচক রাজনীতির ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে। সেই সাথে গোপনে ছাত্রশিবির, হিযবুত তাহরীর মতো জঙ্গিগোষ্ঠী যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেটি নিশ্চিত করার তাগিদও দিয়েছেন শিক্ষাবিদরা।
 

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article