যে কারণে অপসারণের আগেই গ্রামীণ ব্যাংক ছাড়তে চেয়েছিলেন ড. ইউনূস
অধ্যাপক ইউনূস বলেছেলিন, ‘জনগণ চাইলে আমি নতুন দল খুলবো। দেশের স্বার্থে রাজনীতিতে নেমে বিতর্কিত হতেও রাজি আছি।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূস শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ২০০৬ সালে। পুরস্কার জেতার পাঁচ মাস না গড়াতেই ‘রাজনৈতিক দল’ গঠনে উঠেপড়ে লাগেন তিনি। এমনকি রাজনীতির স্বার্থে খোদ গ্রামীণ ব্যাংক ছাড়ারও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। জোর গলায় এমন আকাঙ্ক্ষার কথা দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে ইউনূস নিজেই বলেছিলেন।
মূলত সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসন শুরু হতেই রূপ বদলাতে থাকেন প্রফেসর ইউনূস। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি জাতির উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি লিখেন তিনি। একই সঙ্গে রাজনীতি নিয়ে মানুষের পরামর্শ-সহযোগিতা চান। এছাড়া ওই দিনই কলকাতায় যান এই নোবেলজয়ী।
কলকাতায় গিয়েও রাজনৈতিক দল গঠন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। অধ্যাপক ইউনূস বলেছেলিন, ‘জনগণ চাইলে আমি নতুন দল খুলবো। দেশের স্বার্থে রাজনীতিতে নেমে বিতর্কিত হতেও রাজি আছি।’
ভারত থেকে ফিরে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন ড. ইউনূস। এমনকি ঢাকায় ফিরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ‘রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য প্রয়োজনে গ্রামীণ ব্যাংক ছেড়ে দেবো’। অথচ স্বার্থ হাসিল না হওয়ায় মেয়াদ শেষ হলেও ব্যাংটির এমডি পদ ছাড়েননি ‘চতুর’ ইউনূস। শেষমেশ ৭০ বছর বয়সে ২০১১ সালে দায়িত্ব থেকে তাকে জোর করেই সরাতে হলো।